শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সরকার ও রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগীদের নাম নয়

সার্চ কমিটিতে বিশিষ্টজনদের মতামত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১০ এএম

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার ও রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নাম না দেয়ার প্রস্তাব করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। সেই সাথে ইসি নিয়োগে প্রস্তাবিত ১০ জনের নাম আগেই প্রকাশ করার দাবিও তারা জানিয়েছেন।

নতুন আইন অনুযায়ী গঠিত সার্চ কমিটির সঙ্গে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের মতামত ও প্রস্তাবের কথা সাংবাদিকদের বলেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে গতকাল দুই দফায় সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সাথে বৈঠক হয়। ইতোমধ্যে ৬০ জনের বেশি বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতকাল প্রথম দফার বৈঠক বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। এরপর দ্বিতীয় দফা বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সার্চ কমিটির সদস্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ধাপের বৈঠকে সার্চ কমিটির পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০ জনকে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ বৈঠকে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় অংশ নেন ১৪ জন।

সভায় উপস্থিত ১৪ জন হলেন, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, মনসুরুল হক চৌধুরী, এম কে রহমান, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।

এরপর দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, এনটিভির বার্তাপ্রধান জহিরুল আলম, দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক স্বদেশ রায় প্রমুখ। আজ আবার বাকি বিশিষ্টজনদের সাথে বৈঠক করবে সার্চ কমিটি।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নবগঠিত সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নামের তালিকা প্রেসিডেন্টের বরাবর সুপারিশ করবে। প্রেসিডেন্ট এ তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Tanim Siddiqui ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩০ এএম says : 0
দেশপ্রেমিক ও গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনো সম্ভব নয়, সেটা আপনি নির্বাচন কমিশন দিয়ে করেন বা এলিয়েন দিয়ে করেন Doesn't matter.
Total Reply(0)
Anawat Ullah ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩০ এএম says : 0
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ কশমিন কালে ও সম্ভব নয়।
Total Reply(0)
Ayub Ali ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩০ এএম says : 0
দলীয় সরকার দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং নির্বাচন কমিশনাররা তাদের কাজে জন্য সরকারের নির্দেশকেই গুরুত্ব দেয়। সকল রাজনৈতিক দলের কথামতে একজন বাঘা প্রধান নির্বাচন কমিশনার দরকার। তিনি সরকারের প্রভাবমুক্ত থাকবেন এবং তার ভাল কাজের জন্য পুরস্কার আর খারাপ কাজে তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবেই একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন আশা করা যায়।
Total Reply(0)
Md Rahmatullah Sabib ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩০ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সংবিধান থেকে কমাতে হবে।এবং কোন ব্যক্তি ২ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না
Total Reply(0)
Didarul Islam ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
দলীয় সরকারের অধীনে কাজ করে বলে এবং সবচেয়ে বড় কথা কমিশনের এবং সরকারের সকল স্টেক হোল্ডার দলীয় অাচরন করে। তাই নির্বাচন ব্যবস্থা ভেংগে পড়েছে।।
Total Reply(0)
Redwan Ahmed ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
জাতীয় নির্বাচনের আওতাধীন যে-সব দল আছে তাদের মতামত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা লাগবে।তা-ছাড়া সুষ্ঠু নিরপক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না।
Total Reply(0)
Mahafuz Alam ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩১ এএম says : 0
যেহেতু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লোভ অধিক সেহেতু কোন রাজনৈতিক দলের অধিনে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়,এটাই সাভাবিক।
Total Reply(0)
HàBíb Islåm ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩২ এএম says : 0
শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের দোষ দিয়ে লাভ কি?পুরো সিস্টেমটাই দুর্নীতিগ্রস্ত,যে যে সরকারের আজ্ঞাবহ থাকে তাদেরকেই যে কোন ভাবে ক্ষমতায় নিয়ে আসে।"নির্বাচন কমিশন ঠুকো জগ্ননাথ"
Total Reply(0)
M Shahadat Hossain Shahed ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৩২ এএম says : 0
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাদ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। দলীয় সরকারের সময় প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকেনা, ক্ষমতাশীন দলের আঞ্জাবহ হয়।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:০২ এএম says : 0
পাঁচ বসর বয়স শেষ হলে ঘরের ভিতরে চলে যাবেন,যেমন রাত আর দিন রাত হলে ঘুমাবেন আর দিন হলে বেরিয়ে যাবেন,সেটা কি সত্যি যদি সত্যি হয়ে থাকে আপনি পাঁচ বসর শেষ হলে ক্ষমতায় থাকবেন কি জন্য,জোর করে আইন করেছেন কি জন্য,রাত দিন মানতে রাজি নয় তাই না কি,দেখেন এই সমস্ত তামাশা করে লাভ নেই পাঁচ বসর শেষ হলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন,নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে,নির্বাচনে র‌্যাব পুলিশ নির্বাচনের ভুমিকায় থাকার পয়োজন নেই,সেনা বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে,এরা জনগনের সুসন্তান দেশের পাহারাদার জনগণের চোখের মনি এরা নির্বাচনের দায়িততো থাকবে,অযথা ছিললা চিল্লি করে লাভ নেই।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন