আজ বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক এবং চলচ্চিত্রের মুভিমোগল খ্যাত এ কে এম জাহাঙ্গীর খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী । এ উপলক্ষে তার পরিবার থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮০ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিক উদ্যোগে বাদ জোহর কমলাপুর মুগদাপাড়া বাজার কবরস্থান জামে মসজিদে এবং বাদ মাগরিব গুলশান-১ সেন্ট্রাল (সাবেক ভোলা মসজিদ) মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তার কন্যা ডা. জাহানারা ফেরদৌস ঝুমু এবং পুত্র এ কে এম আলমগীর খান ও এ কে এম ইমরান খান সবাইকে দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। মুগদা মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের মাঝেই চিরনিদ্রায় শায়িত মুভিমোগল এ কে এম জাহাঙ্গীর খান। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছিলেন ১৯৭৩ সালে। তবে তারও আগে থেকে সিনেমার পরিবেশক ছিলেন। তিনি আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘নয়নমনি’ সিনেমা প্রথম প্রযোজনা করেন। সিনেমাটি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করায় একের পর এক প্রযোজনা করেন ‘তুফান’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘রূপের রাণী চোরের রাজা’, ‘রাজকন্যা’, ‘বাদল’, ‘কুদরত’, ‘আলতাবানু’, ‘সওদাগর’সহ আরও অনেক সুপারহিট সিনেমা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এ কে এম জাহাঙ্গীর খানের অবদান অনেক। তার প্রযোজিত সিনেমা একটানা ২৫ সপ্তাহ, ৮১ সপ্তাহ, এমনকি ১০৩ সপ্তাহ ধরে প্রদর্শিত হয়েছে। তার প্রযোজিত নয়নমনি সিনেমাটি ১০৩ সপ্তাহ চলার রেকর্ড গড়েছিল। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি সে সময় প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যবসা করে। ১৯৭৮ সালে ‘চিত্রালী’ সম্পাদক মরহুম আহমদ জামান চৌধুরী তাকে ‘মুভিমোগল’ খেতাব দেন। তার বাড়ি চাঁদপুর। ১৯৩৯ সালের ২১ এপ্রিল তিনি নানাবাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া কাজীবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব প্রতিষ্ঠা এবং ঢাকার মুগদাপাড়া বাজারে তার পিতা সিকান্দর খানের প্রতিষ্ঠিত জামে মসজিদটির পুনর্র্নিমাণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন