অপহরনের পর বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায়ের সময় টাঙ্গাইল বধ্যভূমি সংলগ্ন জেলা সদর মাঠ থেকে সংঙ্গবন্ধ অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। এসময় অপহৃত ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর রহমান খান মুরাদকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কোদালিয়া থেকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে শহরের আকুর টাকুর পাড়ার মৃত লুৎফর রহমান খানের ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ মশিউর রহমান খান মুরাদকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা। পরে এ বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই টাঙ্গাইল র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামুন (জি), পিপিএম, বিএন এবং স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি মোঃ এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা ও বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল বধ্যভূমি সংলগ্ন জেলা সদর মাঠ থেকে অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- টাঙ্গাইল পৌরসভার দেওলা এলাকার মজিদ খানের ছেলে ওয়াসীম (৪৫), মৃত আ: ছালামের ছেলে মো: হাবিুল কবির জনি (৪৮), মো: শাহজাহান ফারুকের ছেলে মেহেদী হাসান শিশির (৩০) ও কোদালিয়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মো: জুয়েল (৩৫)। এসময় অপহৃত ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা জানায়, উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে কোদালিয়া এলাকা থেকে আরো ৩ থেকে ৪ জনের সহযোগীতায় ধারালো অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে মুখ ও চোখ বেঁধে জিম্মি করে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে বধ্যভূমি সংলগ্ন জেলা সদর মাঠের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে মুক্তিপন হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।
র্যাব কমান্ডার আরো জানান, এই বিষয়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপহরনকারী অন্যান্য আসামীদের আটক করার বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন