বাংলা গানের স্বর্ণযুগের অন্যতম কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তার কন্ঠের জাদুতে মজেছে কয়েক প্রজন্ম। ৫০ বছরেরও বেশি সময় নানা ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ছবির গানের পাশাপাশি বাংলা আধুনিক গান ও ধ্রুপদী সঙ্গীতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্যা ছিলেন তিনি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রবাদপ্রতিম সংগীতশিল্পী ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, উপমহাদেশে গানের মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। রাত ৮টা ১৩ মিনিটে টুইট করে মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সংসদ সদস্য শান্তনু সেন।
এর আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন এই গীতশ্রী।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এদিন সকালে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তার রক্তচাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাংলা সংগীতেও বিশেষজ্ঞও তিনি। গানে গানে মানুষের মন কেড়েছেন। অসাধারণ সুরের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন দর্শককের। হেমন্ত মুখার্জী-সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গানের জুটি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিল।
১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। গান দুটি হলো- আমাদের ছুটি ছুটি এবং ওরে সকল সোনা মলিন হলো।
১৯৯৯ সালে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের জন্য ভারত নির্মাণ পুরস্কার পান। ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মান পান তিনি।
২০২২ সালে তাকে ‘পদ্মশ্রী’ দিতে চেয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু এতদিন সে সম্মান তাকে না দেওয়ায় অভিমানে পদ্মশ্রী প্রত্যাখান করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন