বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান। গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নাটক-চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন বরেণ্য এই শিল্পীকে নিয়ে কোনো আয়োজন করেনি। গত এক বছরে কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনের খবর পাননি বলে আক্ষেপ করেছেন এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী।
এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি বলেন, ‘৬০ বছর যে মানুষটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করল, মৃত্যুর এক বছরে তার পরিবার কেমন আছে, সে খবর কেউ নেয়নি। সিনেমা-নাটকের কেউই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ টি এম শামসুজ্জামানকে নিয়ে সিনেমা কিংবা নাটকের কেউ আয়োজন করেছেন, এমন কোনো খবরও আমাদের কাছে নেই। আমরা পারিবারিকভাবে কোরআন খতম, এতিমদের খাওয়ানো ও দোয়া মাহফিল করেছি।’
এদিকে এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক বলেন, ‘আমি শুটিংয়ে কক্সবাজার আছি, সমিতির পক্ষ থেকে এটিএম শামসুজ্জামান সাহেবকে নিয়ে কোনো আয়োজনের খবর আমার কাছে নেই।’
এটিএম শামসুজ্জামানের পরিবারের খবর নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাত্রই তো নতুন কমিটি হলো, আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেবো।’
এ টি এম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান তিনি।
১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার চিত্রনাট্য লেখেন। সিনেমার নাম ‘জলছবি’। একই বছরে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্রথম অভিনীত ছবি ‘ন্যায়ী জিন্দেগী’; যা শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি। এরপর ১৯৭৪ সালে তিনি আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর বহু সিনেমায় নিজের অভিনয়গুণে দর্শকমহলে জায়গা করে নেন। তিনি একুশে পদকসহ বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন