জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি অংশ মনে করেন, মহাবিশ্বের বয়স ১ হাজার ৩৮০ কোটি বছর। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ফিলিপস মনে করেন, পৃথিবীর বয়স ৯.৬ কোটি বছর। গার্ডিয়ানের গবেষকরা বলেছেন, পৃথিবীতে ৪১০ কোটি বছর আগে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। বিবর্তনবাদীদের মতে, আধুনিক মানুষ সৃষ্টি হয়েছে আজ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে। তাদের কারো কারো মতে, চার লক্ষ বছর আগেও পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিল। ভাষা বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাণী সৃষ্টির শুরু থেকেই বিশ্বে ভাষা সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক গবেষকদের মতে, ৮০ লক্ষ বছর আগে ভাষার উৎপত্তি হয়েছে। ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম গবেষকদের মতে, পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.)। সৃষ্টির শুরুতে সকল প্রাণীর উপর আদম (আ.) এর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব ছিল। আর আল্লাহতায়ালা তাকে সকল জিনিসের নাম শিক্ষা দিয়েছিলেন। এ জ্ঞানের আলোকে তিনি বিভিন্ন প্রাণীর নামকরণ করেছেন। এটা ছিল আদম (আ.) এর ভাষাজ্ঞানের বড় প্রায়োগিক প্রমাণ। ভাষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাষাজ্ঞানের লিখিত নিদর্শন মেলে আজ থেকে ঠিক পাঁচ হাজার বছর পূর্ব থেকে। মুসলিম গবেষকদের মতে, পৃথিবীর প্রাচীন ভাষা ছিল আরবি। ইসলামের প্রথম মানব আদম (আ.) এর জান্নাতে বসবাসের সময় তাঁর ভাষা ছিল আরবি। তিনি জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আসার পর আরবি ভাষা ভুলে যান। অতঃপর তিনি সুরইয়ানিয়া ভাষায় কথা বলতে থাকেন। অতঃপর তাওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। পুনরায় তিনি আরবিতে কথা বলা শুরু করেন। ইসলামী গবেষকদের মতে, আদম (আ.) থেকে নুহ (আ.) পর্যন্ত পৃথিবীর সকল মানুষই আরবিতেই কথা বলতো। এ দীর্ঘ সময় ধরে সকল মানুষ একই শব্দ ব্যবহার করতো। (বাইবেল, আদিপুস্তক, ১১/১)। আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতী (র.) বলেন, সকল আসমানী গ্রন্থ আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছিল। অতঃপর নবীগণ সে গ্রন্থ তাদের নিজ জাতির মাতৃভাষায় অনুবাদ করে শিক্ষা দিয়েছিলেন। যুগের চাহিদা মোতাবেক সকল কিতাব রহিত হয়ে যায়। শুধু আসমানি কিতাব আল-কোরআন হুবহু আরবিতেই বহাল রয়ে যায়। (আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ১৩৬)। সময়ের ব্যবধানে মানব সৃষ্টির পরিবর্তন ঘটেছে; বিবর্তন ঘটেছে মানব সভ্যতার। এ বিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী ভাষাতেও বিচিত্র রূপ ধারণ করেছে। সৃষ্টির শুরুর দিকে মানুষ ইশারা এবং অংকনের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতো। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষ কথা বলার উপায় বের করে। তারা কথা বলার মাধ্যমে ভাবের আদান প্রদান শুরু করে। কিন্তু এ কথা বলার সময় সকল ব্যক্তির রীতি এবং উচ্চারণ এক রকম হতো না। এক একজনের মুখে ভাষার রীতি একেক রকম দেখা দিতো। এতে ভাষা এবং তার উচ্চারণ নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। অর্থাৎ ভাষা উচ্চারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রীতির জন্ম হয়। এভাবে ভাষাতে বিভিন্ন পরিবর্তন সৃষ্টি হয়। এ পরিবর্তন এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হতে থাকে। এ স্থানান্তর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং সম্প্রদায় থেকে সম্প্রদায় পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে দেশান্তরে ভাষার এ পরিবর্তন ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে নানা দেশে নানা অঞ্চলে ভাষার উৎপত্তি হতে থাকে। পরিবর্তিত এ ভাষার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। মানবগোষ্ঠি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। তাদের মাধ্যমে জন্ম নিতে থাকে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, দেশ এবং মহাদেশ। ফলে ভাষাতে সৃষ্টি হয় ব্যাপক বৈচিত্র্য। বর্তমানে পৃথিবীতে ২০০ এর উপরে রাষ্ট্র রয়েছে। আর মানুষ রয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি। এ ৮০০ কোটি মানুষ কমবেশি প্রায় ৮০০০ ভাষায় কথা বলে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে ২৩টি প্রধান ভাষায় অধিকাংশ মানুষ কথা বলে। আর এ ভাষাভাষী মানুষের দিক থেকে পৃথিবীতে চীনা ভাষার অবস্থান প্রথম। এ ভাষায় পৃথিবীর প্রায় ১২৮ কোটি মানুষ কথা বলে। দুই নম্বরে অবস্থান করছে স্পেনীয় ভাষা।
স্পেনীয় ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৪ কোটি। তিন নম্বরে রয়েছে ইংরেজি ভাষা। পৃথিবীতে এ ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৮ কোটি। আরবি ভাষার অবস্থান চতুর্থ। পৃথিবীতে এ ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা ৩৫ কোটি। এর পরেই রয়েছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার অবস্থান। পৃথিবীতে এ ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আর মাতৃভাষার মানেই হলো মায়ের ভাষা। মায়ের ভাষাতে কথা বলা মানুষের চিরায়ত সহজাত প্রবৃত্তি। কারণ, এ ভাষায় মানুষ খুব সহজেই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। মাতৃভাষা আল্লাহর এক অপার অনুগ্রহ। কারণ, আল্লাহতাআলা সকল নবীকে স্বজাতির ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছিলেন। (সুরা ইব্রাহিম: ৪)। এ আয়াতটি মাতৃভাষা শিক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য বিশেষ গুরুত্ব নির্দেশ করে। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, তিনিই আল্লাহ যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা: আর রহমান ৩-৪)। ভাষা শিক্ষা ও উচ্চারণের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো শুদ্ধভাবে উচ্চারণ, লিখন ও পঠন। প্রতিটি ভাষা শুদ্ধ উচ্চারণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ছাড়া অর্থ বিশুদ্ধ হয় না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ‘আইএলটিএস’ কোর্সটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষার অন্যতম উদাহরণ। ভাষার বিশুদ্ধ উচ্চারণ ও ব্যবহারের ব্যাপারে ইসলামও যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছে। শুদ্ধ উচ্চারণ ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলার ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা স্পষ্ট। আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান বলেন, ‘ভাষা ও শব্দের অশুদ্ধ উচ্চারণ কাপড়ের ছিদ্র ও মুখে গুটি বসন্তের দাগের মতো।’ (আল-আদাবুস সুলতানিয়্যাহ, ১/৪৫)। ইমাম জহুরী বলেন, ‘বিশুদ্ধ ভাষা আভিজাত্যপূর্ণ।’ মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আরবের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জলভাষী। তিনি মাতৃভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করতেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আরবদের মাঝে আমার ভাষা সর্বাধিক স্পষ্ট। তোমাদের চেয়ে আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও সুস্পষ্ট।’ (ইবনুল আরাবী)। তিনি (সা.) আরো বলেছেন, আরবের সবচেয়ে মার্জিত ভাষার অধিকারী সাদিয়া গোত্র। আর আমি সেই গোত্রেই বড় হয়েছি। তাঁদেরই কোলে আমার মুখ ফুটেছে। তাদের মাঝে আমি সর্বাধিক সুভাষিত ভাষা ব্যক্ত করেছি। নবীজি (সা.) এর এ বক্তব্য মাতৃভাষায় পারদর্শী হওয়া এবং যোগ্যতা অর্জন করার বিষয়ে সাক্ষ্য বহন করে। সুতরাং, এ যোগ্যতা অর্জন করা, মহানবী (সা.) এর যোগ্যতারই অংশবিশেষ। ইসলামের ইতিহাসে দোভাষী নিয়োগ দেয়ার ঘটনা বিরল নয়। মহানবী (সা.) তাঁর সময়ে জায়েদ বিন ছাবিত (রা.)কে দোভাষী হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছিলেন। দোভাষী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর যায়েদ বিন সাবিত (রা.) বিভিন্ন ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করেন। অন্য ভাষায় লিখিত চিঠি পড়া ও তার জবাব প্রদান কাজে তিনি ব্যস্ত সময় পার করতেন। (বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৬৩১)। এ সম্পর্কে যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) বলেন, আমি মাত্র ১৫ বা ১৭ দিনের মাথায় অন্য ভাষা আয়ত্ব করি। নবীজি (সা.) কিছু লিখতে বললে আমি লিখে দিতাম, আর ইহুদী-খ্রিস্টানরা চিঠি দিলে আমি সেটা পড়ে দিতাম। (ফাতহুল বারী, ১৩/১৮৬)। অন্য ভাষার প্রতি ইসলাম কর্তৃক গুরুত্ব দেয়ার আরেকটি নজির হলো সাত কিরাত। আর সেটা হলো এভাবে যে, আল কুরআন আরবি ভাষাতেই নাযিল হয়েছিল। কিন্তু আরবের বিভিন্ন গোষ্ঠি সেটা বিভিন্ন রীতিতে তা পাঠ করতো। ইসলাম কোরআন পঠনের বিভিন্ন এ রীতিকে অনুমোদন দিয়েছিল। এ কারণে পৃথিবীতে কোরআন সাত কীরাতে পড়ার প্রচলন রয়েছে। এ ব্যাপারে নবীজী (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল-কোরআন ৭ উপভাষায় নাযিল হয়েছে। এর মধ্যে তোমাদের কাছে যেটা সহজ হয় সেটাতেই তুমি পাঠ করতে পারো। (বুখারী, ৪র্থ খন্ড, হাদিস নং ১৯২৪)। মাতৃভাষার প্রতি ইসলামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হলো ভাষার অবিকৃতি। মাতৃভাষার বিকৃতি ইসলাম সমর্থন করে না। ইহুদি এবং খ্রিস্টানগণ ভাষা বিকৃতি করে মুখ বাঁকিয়ে গ্রন্থ পাঠ করতো। এর মাধ্যমে ভাষার জটিলতা সৃষ্টি হতো এবং তাদের অনুসারীদের ধোঁকা দিতো। আল্লাহতাআলা তাদের এই ভাষাগত বিকৃতি পছন্দ করেননি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে। যাতে তোমরা মনে করো তারা কিতাব থেকেই পাঠ করছে। কিন্তু তা আসলে আদৌ কিতাব নয়।’ (সূরা: আল-ইমরান ৭৮)। সুতরাং ইসলামে ভাষা বিকৃতি সমর্থন যোগ্য নয়। ভাষা বিকৃতি ও অশুদ্ধ উচ্চারণ ইসলামে নিষিদ্ধ। উচ্চারণে বিকৃতি হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়ার দোয়া খোদ কোরআনেই উল্লেখ রয়েছে। ‘হে আমার রব! তুমি আমার ভাষার জড়তা দূর করে দাও! যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সূরা: ত্বহা আয়াত ২৭- ২৮)। ভাষাজ্ঞান মূলত আল্লাহর ইচ্ছাকৃত সৃষ্টি। কেননা তিনি আদম (আ.)কে সবকিছুর নাম শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি ভাষাজ্ঞানও শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় জিনিসের নাম শিক্ষা দিলেন। আর সেগুলো তিনি ফেরেশতাদের সম্মুখে প্রকাশ করলেন এবং বললেন, এ সমুদয় জিনিসের নাম আমাকে বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (আল বাকারা: (৩০-৩৩)। সমুদয় শব্দ দ্বারা এখানে পৃথিবীর সকল ভাষাকে বোঝানো হয়েছে।
উল্লেখিত আয়াত এবং হাদিস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, ইসলামে মাতৃভাষার ব্যবহার, শিখন ও পঠনের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামে এটি মানুষের জন্মগত অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এটি সংরক্ষণের জন্য সংঘটিত যে কোনো আন্দোলনই স্বাধিকার আদায়ের শামিল। আর এ স্বাধিকার আন্দোলন করতে গিয়ে যদি কারো মৃত্যু হয়, তিনি শাহাদাতের মর্যাদা পাবেন। এ সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট বক্তব্য নিম্নরূপ: ‘কোনো নিপীড়িত ও অধিকারবঞ্চিত মুসলিম যদি নিজের অধিকার আদায়ে যুদ্ধ করেন; আর এ যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি তিনি নিহত হন তাহলে তিনি শহীদ।’ (আল মুসনাদ, খন্ড ১২, হাদিস নং ১৪৬)। এ আলোচনা আরো প্রমাণ করে যে, বিশ্বময় ভাষা বৈচিত্র্যকে ইসলাম স্বীকৃতি প্রদান করে। কারণ, এটি মানুষের হাতে গড়া নয়। ‘এটা আল্লাহতায়ালা প্রদত্ত এক অপার নিদর্শন। আর এ নিদর্শনের মধ্যে বিশ্ববাসীর জন্য রয়েছে অনেক শিক্ষা।’ (সূরা: রুম ২২)। ‘পৃথিবীতে আমি যত নবী ও রসূল পাঠিয়েছি তাদের প্রত্যেককে আমি স্বজাতির ভাষাভাষী হিসেবে পাঠিয়েছি। যাতে তারা তাদের মাঝে সহজেই দাওয়াত পৌঁছে দিতে পারে।’ (সূরা: ইব্রাহীম ৪)। এ আয়াতদ্বয় পৃথিবীর সকল ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদানের বড়ো নির্দেশক। সুতরাং বলাই বাহুল্য যে, ইসলাম মাতৃভাষার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। মাতৃভাষার অধিকার স্বীকৃতিপূর্বক ভাষাকে নিয়ে কাজ করতে ইসলাম উৎসাহিত করে। নির্দিষ্ট কোনো একক ভাষাকে সীমাবদ্ধ করা ইসলাম সমর্থন করে না। কারণ, ইসলাম সকল কালের, সকল যুগের ও সকল মানুষের জন্য এক কালজয়ী বিধান। (সুরা আলবাকারা: ১৮৫)। বিশ্বময় ইসলাম সম্প্রচারের জন্য সকল ভাষাকে তাই গুরুত্ব দেয়া উচিত। সকল ভাষাতে ইসলামচর্চা হওয়াও বর্তমান সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ভাষায় ইসলামী সাহিত্য সম্ভার গড়ে তোলাও সময়ের চরম বাস্তবতা।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন