চাকরি দেয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ‘বড়মাপের’ যুবলীগ নেতা। তা আবার সহকর্মীকে দিয়ে ভিডিও ধারণ করে।
জানা যায়, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং মারধরের অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
অভিযুক্ত ফুহাদ আল মতিন উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী।
গৃহবধূ জানান, পরিবারের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন। তার একটি সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে মতিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে পারিবারিক সমস্যা থাকায় তার কাছে একটি চাকরির কথা বলেন গৃহবধূ।
মতিন নিজেকে ‘বড়মাপের’ একজন নেতা দাবি করেন। পরবর্তীতে গৃহবধূর কাছ থেকে একটি জীবন বৃত্তান্ত জমা নেন তিনি। রোববার সকাল ১০টায় গৃহবধূকে পাল্লা বাজার তার কার্যালয়ে আসতে বলেন মতিন। সেখানে গেলে প্রথমে তাকে নাশতা দেওয়া হয়, পরে নেশাদ্রব্য মেশানো কোমল পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করেন মতিন। তার এক সহকারী ভিডিও ধারণ করেন। কাউকে কিছু বললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষণের পর গৃহবধূকে অটোরিকশায় করে চাটখিল ও পাল্লা বাজারের মাঝামাঝি জায়গায় নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে এক সিএনজিচালক গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন