রোকন ও সুমিকে কুপিয়ে মিজান তার সাবেক শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে বাড়ির পাকা ভবন পুড়ে যায়। আগুন দেওয়ার পর নিজেও বিষপান করে মিজান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্বশুর বাড়ির পূর্বদিকের সড়কে পড়ে থাকা অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে। পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
জানা যায়, নিজের স্ত্রী তাকে তালাক দেওয়ায় শ্যালককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মিজান নামের এক যুবক। এ সময় স্ত্রীকেও কুপিয়ে জখম করার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মকরমপুর গ্রামে।
নিহত রোকনুজ্জামান রোকন (৪২) ওই গ্রামের তয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোকনের বোন সুমি খাতুনকে সাত বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মিজান। তাদের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি সুমির ভাই রোকন।
একপর্যায়ে তিন বছর আগে মিজানকে তালাক দিতে বোনকে বাধ্য করা হয়।
এরপরেও সুমিকে ফিরিয়ে আনতে বারবার চেষ্টা চালান রোকন। এতে বাধা দেন সুমির ভাই রোকন। এ ঘটনায় রোকনের প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয় মিজানের।
ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যায় বোন সুমিকে নিয়ে রংপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রোকন। পথিমধ্যে ইছলার বাজার-মকরমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে তাদের পথরোধ করেন মিজান।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত রোকন ও সুমিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন