লক্ষ্মীপুরে সুপারি গাছের সঙ্গে বাঁধা বৃদ্ধ মিলন হোসেনের (৬০) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম। পরে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে লাশের গলায় রশি পেঁচিয়ে ও পেছন দিক থেকে দুই হাত সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বৃদ্ধ মিলন হত্যার বিষয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি জানান, স্ত্রী জাহানারা বেগম একাই তাকে হত্যা করে বাড়ির সামনে সুপারি গাছে সঙ্গে বেঁধে রাখেন। অভিযুক্ত জাহানারা বেগম বর্তমানে জেল হাজতে আছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল সরকার জানান, মিলনের লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহতের ছোট ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এতে নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে আদালতেও তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জবানবন্দির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। তাই ঘটনা বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা প্রতিবেদন হাতে পেলে জানানো যাবে।
থানা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামে ২২ এপ্রিল দিবাগত রাতের কোনো এক সময় জাহানারা তার স্বামী মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে সুপার গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন গলায় রশি ও গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিলনের লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহানারাসহ পুলিশ পরিবারের ৪ সদস্যকে আটক করে। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদে জাহানার হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। নিহত মিলন দিক্ষণ খাগুড়িয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন