শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সংখ্যা প্রায় ৭০ ভাগ

ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনেই টিকা গ্রহণ করল ৭ লক্ষাধিক মানুষ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:১৯ পিএম

সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ১২ বছরের ঊর্ধ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬৮ ভাগ করোনা ভ্যাকসিনের ১ম ডোজের আওতায় এসেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে এ অঞ্চলের ৬টি জেলার ১ হাজার ১শরও বেশী কেন্দ্রে ৭ লাখ ৮ হাজার মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যারমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। বরিশাল মহানগরীতেও ঐ দিন ৫৫ হাজার মানুষ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। রবি ও সোমবারেও ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ হুমায়ুন শাহিন খান জানিয়েছেন। শনিবার ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে বরিশাল মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভীড় ছিল লক্ষণীয়। মহানগরীর ২০টি কেন্দ্রেও যথেষ্ট ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে টিকা গ্রহণে যথেষ্ট আগ্রহ স্বাস্থ্য বিভাগকে আশান্বিত করছে।

গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ বছরের ২৬ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত এ অঞ্চলে ৬৫ লাখেরও বেশী মানুষ ১ম ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৪৬ লাখেরও বেশী। ফলে ১ কোটি জনসংখ্যার এ অঞ্চলে ১২ বছর ও তদোর্ধের প্রায় ৭৫ লাখ মানুষের প্রায় ৬৮ ভাগ ইতোমধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল। বরিশাল মহানগরীর প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ প্রথম ডোজ এবং ৬৫ ভাগ দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছে বলে সিটি করপোারেশন সূত্রে বলা হয়েছে। শনিবার ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন এ নগরীতে ২০টি কেন্দ্রে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।

গত ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে ১ম ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ২০ হাজারের মত। যা ৭ ফেব্রুয়ারি ৫৫ লাখ ৫৭ হাজারে উন্নীত হয়। আর ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত ২য় ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৭ ফেব্রুয়ারীতে ৩৭ লাখ ৩২ হাজারে উন্নত হয়। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৫ লাখ ও ২য় ডোজের সংখ্যা ৪৬ লাখে উন্নীত হয়েছে।

পাশাপাশি ১২ বছরের ঊর্ধ্বের ১ম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৫ জানুয়ারী সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ৮ লাখ ৬৩ হাজার এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯ লাখ ৩৬ হাজারে উন্নীত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঐ দিন পর্যন্ত ২য় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ৫৬ লাখের কিছু বেশী। দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আশান্বিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্থানীয় দায়িত্বশীল মহল।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলে গত তিন দিনে করোনা শনাক্তের হার আশাব্যাঞ্জকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২৪ ফেব্রয়ারী দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় শনাক্তর হার ছিল ১৮.৮৮%। যারমধ্যে পিরোজপুরে ৩১.৫৮% ও বরগুনাতে ৩০.৯২% করোনা রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু রোববার শনাক্তের হার ৭.৩৫%-এ হ্রাস পেয়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধিক শনাক্তের ঝালকাঠিতে এদিনও শনাক্তের হার ছির ১২.৫০%। যা বরগুনাতে ছিল ৮.৫১ ও পিরোজপুরে ৫.৫৬%। তবে মহানগরী সহ বরিশাল জেলায় এদিনও শনাক্তের হার ছিল ৯.০৯%। দ্বীপ জেলা ভোলাতে এখন শনাক্তের হার দক্ষিণাঞ্চলের সর্বনিম্ন ২.২৭%-এ হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে গত ৩ দিনে দক্ষিণাঞ্চলে আরো ৭৫ জন সহ সর্বমোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৩৪ জনে। যারমধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬৮ জন। তবে গত ২০ দিনে এ অঞ্চলে কোন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চলে ৩ হাজার ৮৪৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মাসের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ৬ জন। আর স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৬১ জন সহ সর্বমোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৯ হাজার ৯৩ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন