বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

উমাইয়া যুগে মুদ্রাব্যবস্থা

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২২, ১২:১৭ এএম

মানব সভ্যতার ইতিহাসে মুদ্রার উদ্ভাবন এক বিরল ঘটনা। আদিম ও প্রাচীন সমাজে মুদ্রার ব্যবহার না থাকলেও আধুনিক জগতে প্রতিটি সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থা এতই জটিল হয়েছে যে, মুদ্রা ব্যবস্থা ও মুদ্রার ব্যবহার না থাকলে সভ্যতার চাকা অচল হয়ে পড়বে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য।

আদিম সমাজে ব্যক্তি মানুষ তার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস নিজেই তৈরী করতো। ঐ সময় বিনিময়ের প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের চাহিদা তৈরী হতে থাকে এবং ব্যক্তির একার পক্ষে তার প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে সমাজে শ্রম বিভাগের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মানুষ প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য উৎপাদনের চেষ্টা না করে কোন একটি বিশেষ দ্রব্য উৎপাদনে নিজেকে নিয়োজিত করে এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্য নিজের দ্রব্যের বিনিময়ে অপরের নিকট থেকে সংগ্রহ করে। এভাবে সমাজে শ্রম বিভাগ দেখা দেয়ায় মানুষের জীবনে বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

পরস্পরের সঙ্গে নিজ নিজ উদ্বৃত্ত দ্রব্যের সরাসরি বিনিময় দ্বারা মানুষ তার প্রয়োজন মিটাতে পারে। কোন একটি দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য একটি দ্রব্য সরাসরি বিনিময় করাকে দ্রব্য বিনিময় প্রথা বলে। আদিম সমাজে যখন মুদ্রার প্রচলন ছিল না তখন দ্রব্য বিনিময় প্রথাই বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তখন কেউ কোন জিনিস ক্রয় করতে চাইলে তাকে নিজের দ্রব্যের বিনিময়ে অন্যের দ্রব্য সংগ্রহ করতে হতো। কিন্তু দ্রব্য বিনিময় প্রথার বহু সমস্যা ও অসুবিধা ছিল। যেমন, প্রয়োজনের অসঙ্গতি, দ্রব্যের অবিভাজ্যতা, মূল্য পরিমাপকের অভাব, দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন, ঋণ পরিশোধের অসুবিধা ইত্যাদি

সমাজে মুদ্রা বা অর্থের প্রচলনের সাথে সাথে দ্রব্য বিনিময় প্রথার উপরোক্ত অসুবিধাগুলো দূর হয়েছে। বস্তুত মানব সভ্যতার ইতিহাসে অগ্নি উদ্ভাবনের মত মুদ্রার উদ্ভাবনও একটি অন্যতম যুগান্তকারী ঘটনা। মুদ্রার প্রচলনের ফলে নিম্নোক্ত উপায়ে দ্রব্য বিনিময়ের অসুবিধাগুলো দূরীভূত হয়েছে। এক কথায় মুদ্রা অর্থনৈতিক জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। বিনিময় প্রথাকে ইসলামে নিন্দা করা হয়নি কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু রীতি বা রেওয়াজ রয়েছে যা একে শোষণ ও অবিচারের দিকে ঠেলে দেয়। তাই মহানবী স. শুধু সীমিত ক্ষেত্রেই এ পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমোদন দান করেছেন এবং বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছেন। বর্তমান অর্থনৈতিক জগতে মুদ্রার গুরুত্বকে বাড়িয়ে বলার উপায় নেই। একথা আজ সর্বজনস্বীকৃত যে, মুদ্রার ব্যবহার না থাকলে সভ্যতার চাকা অচল হয়ে পড়বে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো প্রথম দিকে একটি মুদ্রাবিহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। বস্তুতপক্ষে মানুষের অর্থনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম।

ইমাম মাকরিজি বলেন, “যখন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রা. এর নিকট মুদ্রার বিষয়টি ওঠল এবং কুফা ও বসরার লোকজন তার পুত্র জিয়াদের নিকট উপস্থিত হল তখন তিনি বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আল্লাহর নেক বান্দাহ উমর রা. দিরহামকে ছোট করেছেন এবং হাতকে বড় করেছেণ এবং এর উপর সৈন্যদের বেতনের জন্য ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে এবং প্রজাতের প্রতি দয়া প্রদর্শন হিসেবে শিশুদের জন্য বন্টন করা হচ্ছে। আপনি যদি এর চেয়ে স্বল্প ওজনের মুদ্রা প্রচলন করতেন তাহলে সাধারণ মানুষের প্রতি অধিক দয়া প্রদর্শন করা হতো এবং এর দ্বারা একটি উত্তম নিয়ম প্রচলিত হতো।

অতঃপর মুয়াবিয়া রা. ছয় দাওয়ানেকের চেয়ে কম ওজনের মুদ্রা প্রচলন করেন যার ওজন ১৫ কিরাত হয়, এক কিংবা দুই দানা কম। এর পর জিয়াদ নতুন করে মুদ্রা তৈরী করেন এবং প্রতি ১০ দিরহামের ওজন সাত মিসকাল করে তা দিরহামের পরিবর্তে ব্যবহার হতো।

মুয়াবিয়া রা. এর কার্যাবলী শুধু ‘দিরহাম’ তৈরী করার মধ্যেই থেকে ছিল না, তিনি ৪১ হিজরী/৬৬১ ইং সনে ‘দিনার’ ও তৈরী করেন। মো: আলী, ‘ইরাক রিপাবলিক’ নামক পত্রিকা থেকে সংকলন করেন, “চীন প্রজাতন্ত্রের ‘সিয়ান’ নামক গোরস্থানে সম্প্রতি তিনটি আরবী স্বর্ণের টুকরো আবি®কৃত হয়েছে অত:পর এ গোরস্থান “চীনা ঐতিহ্য পরিষদ” কর্তৃক তদন্ত করা হয়েছে এবং তাতে দেখা গেছে ঐ মুদ্রাটির ব্যাস ১ : ৯ সেমি, উজন ছিল ৪,৩ গ্রাম, পুরো ছিল এক মি.লি.। এক পিঠের মধ্যস্থানে তিন লাইনে আরবীতে লিখা, ‘লা ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু’, ‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ, আরছালাহু বিল-হুদা ওয়া দিনিল-হাক্ক’। প্রত্যেক মুদ্রার অপর পিঠে কুফী অক্ষরে নকশা বিদ্যমান ছিল, সেখানে লিখা এই দিনারটি তৈরী করা হয়েছে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সময়ে।

আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. মুদ্রা বিষয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা হচ্ছে, তিনি মুদ্রার আকার পরিবর্তন করেছিলেন এবং আয়তাকারের পরিবর্তে গোলাকার করে তৈরী করেছিলেন। ঐতিহাসিক জাওদাত পাশা ১৯ হিজরীতে ইয়াজেদ নামক স্থানে তৈরী মুদ্রা দেখেছেন। এর চতুর্দিকে লিখা ছিল, “আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের আমীরুল মুমিনীন”। অন্যদিকে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরের পুত্রও মুদ্রার উপর বিভিন্ন ইসলামী শব্দাবলী সংযোজন করেছিলেন।

ইমাম মাকরিজি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর যখন মক্কায় খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন তখন তিনি গোলাকার মুদ্রা তৈরী করেন সুতরাং তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি গোলাকার দিরহাম তৈরী করেছিলেন। এর পূর্বে যে সব ‘দিরহাম’ তৈরী করা হয়েছিল তা ছিল পুরু ছোট ও আয়তাকার। অতঃপর তিনি গোলাকার করে তৈরী করেন এবং এর এক পৃষ্ঠায় নকশাকারে লিখা হয়, ‘মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ’ অন্য পৃষ্ঠায় লিখা হয় ‘আমারাল্লাহু বিল ওফায়ে ওয়াল আদলে’ (আল্লাহ ওয়াদা পূর্ণ ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন)।
ঐতিহাসিক বালাজুরী বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. এর নির্দেশে মুসয়াব রা. ‘দিরহাম’ তৈরী করেছিলেন ৭০ হিজরীতে পারস্যের মুদ্রার ধরন অনুযায়ী এবং এর উপর লিখা হয়েছিল ‘বারকাতুল্লাহ’ এবং ‘আল্লাহ’। তদ্রƒপ বর্ণিত আছে, মুসয়াব রা. দিনার তৈরী করেছিলেন। মাওয়ারদী, ইবনে খালদুন এবং ইমাম মাকরিজিও একই কথা বলেছেন।

অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতানুসারে খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান প্রথম ব্যক্তি যিনি ইসলামী দিনার তৈরী করেন এবং তিনিই সর্বপ্রথম ইসলামী মুদ্রা প্রচলনের পূর্ণ মর্যাদা পেয়েছিলেন এবং তিনিই সমগ্র পৃথিবীতে প্রধান ও প্রথম মুদ্রা তৈরী ও প্রচলনকারী হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। আধুনিক পরিভাষা অনুযায়ী ‘ইসলামী দিনার’ তখনকার ‘হার্ড কারেন্সি’ তে পরিণত হয়েছিল।

একটি আধুনিক গবেষণায় ড. নাজদাহ খামাস বলেন, “সিরিয়ায় দিনার পাওয়া গিয়েছিল ১৯৫৪ সনে, এরপর লেবাননে স্থানান্তরিত হয় এবং সেখান থেকে করাচির যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয় এবং এখনও সেখানেই আছে। এই আরবীয় নতুন দিনার তৈরী হয়েছিল ৭৪ হিজরী সনে। এর প্রথম পৃষ্ঠায় অংকিত ছিল খলিফা আব্দুল মালিকের ছবি, দণ্ডায়মান, তরবারী হাতে, পরনে যুদ্ধের-পোশাক। এর চতুর্দিকে লিখা ছিল বিপরীত দিক থেকে ‘বিসমিল্লাহ’ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু’, ‘মুহাম্মদ রসূলুলাহ’ প্রথম পীঠের মধ্যখানে ছিল বাইজেনটাইন ক্রস, এর চতুর্দিকে লিখা ছিল ‘বিসমিল্লাহ’। এই দিনার হিজরী ৭৪ সনে তৈরী করা হয়েছিল। গবেষকগণ এমতকেই সমর্থন করে বলেন, তিনিই সর্বপ্রথম ইসলামী দিনার তৈরি করেন, তবে এর দ্বারা গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম ইসলামী মুদ্রা প্রস্তুতকারী হিসেবে উমর রা. এর নাম অস্বীকার করা যায় না দু’কারণে ঃ

প্রথমতঃ ঐতিহাসিকগণ এবং গবেষকগণের মতামতের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা সম্ভব। খুলাফায়ে রাশেদার দ্বিতীয় খলীফা উমর রা. প্রথম ‘ইসলামী দিরহাম’ তৈরী করেন। উমাইয়া খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান সর্বপ্রথম ‘ইসলামী দিনার’ তৈরী করেছিলেন। ‘দিরহাম’ ‘দিনার’ নয়। প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক কাজ করেছেন। সুতরাং অগ্রজ আর অনুজের কাজের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই।

দ্বিতীয়ত ঃ খুলাফায়ে রাশেদার দ্বিতীয় খলীফা রা. ইসলামী মুদ্রার সূচনা করেছিলেন, তাঁর তৈরী মুদ্রার উপর বিভিন্ন ইসলামী শব্দাবলী সংযোজনের মাধ্যমে। অতঃপর তাঁর পরে যারা এসেছেন ঐ কাজেরই পূর্ণতা দান করেছেন এবং প্রত্যেক খলীফা নতুন কিছু সংযোজন করেছেন। এভাবে খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের যুগে তিনি অনুভব করেন যে, এখন মুসলমানদের অর্থনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের সময় এসেছে। অতঃপর তিনি ইসলামী দিনার তৈরী ও প্রচলন করেন এবং ঐ মুদ্রা যাতে সেকালে গোটা পৃথিবীর ‘হার্ড কারেন্সি’ হিসেবে পরিগণিত হয় তার জন্য তিনি সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুতরাং ইসলামী মুদ্রা তৈরী ও প্রচলনের কাজ প্রথম শুরু হয়েছে হযরত উমর রা. এর সময়ে এবং এর পূর্ণতা ঘটেছে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আমলে। খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফকে মুদ্রা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ দেন। অতঃপর হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ এ কাজ সম্পাদন করেন। বালাজুরী বলেন, ‘হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ’ জিজ্ঞাসা করেন, ‘পারস্যের লোকেরা কিভাবে দিরহাম তৈরী করতো’। তিনি তা প্রস্তুত করার জন্য একটি ঘর নির্দিষ্ট করেন এবং সেখানেব প্রস্তুতকারীদের একত্র করেন বিভিন্ন উপাদান দ্বারা ‘মুদ্রা’ বা ‘দিরহাম’ তৈরী করা হয় এবং দিরহামের উপর আরবীতে লিখা হয় ‘কুলহুা আল্লাহু আহাদ’। এরপর খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান যখন মুসলমানদের একাজে পারদর্শিতা দেখলেন তখন তিনি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের নিকট কাঁচা রৌপ্য পাঠালেন এবং হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ তা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন এ থেকে দিরহাম তৈরী করার জন্য এবং প্রস্তুতকারীদের জন্য বেতন নির্ধারণ করেন। খলীফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান নির্দেশ দেন, পূর্বেকার তৈরী ও প্রচলিত সকল ‘দিনার’ বায়তুলমালের মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নতুন তৈরী আরবী ডিজাইনের মুদ্রা প্রতিস্থাপন করার জন্য। সম্ভবতঃ এতে ‘মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের তৈরী ‘দিনার’ আমাদের নিকট না পৌঁছার কথাই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি তার পূর্বেকার প্রচলিত সমস্ত মুদ্রা বাতিল করে নতুন করে ইসলামী মুদ্রা তৈরী করেছিলেন। এভাবে ‘ইসলামী মুদ্রা’ খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের ফলে সমগ্র পৃথিবীতে একক আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল এবং পৃথিবীর বহু জাতিক বিনিময় মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছিল। এর প্রমাণ রাশিয়া, পোলান্ড, ফিনল্যান্ড এবং জার্মানিদের নিকট অদ্যাপি বিদ্যমান আরবীয় মুদ্রাগুলো। উপরোক্ত বর্ণনা থেকে এটাই পরিষ্কার হল যে, হিজরী প্রথম শতাব্দি সমাপ্তির পূর্বেই ইসলামী মুদ্রা তথা ইসলামী স্বর্ণ মুদ্রা ‘দিনার’ এবং ইসলামী রৌপ্য মুদ্রা ‘দিরহাম’ গোটা পৃথিবীর প্রধান মুদ্রায় পরিণত হয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন