ঢাকা বিভাগে দেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে তিনটির এখনো চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) নির্ধারিত গতির ইন্টারনেট সেবা নেই। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক পরীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিটিআরসির পরীক্ষায় গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটকে ফোরজি সেবার নির্ধারিত ন্যূনতম ডাউনলোড গতি আসেনি।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান পরীক্ষায় গত বছরের ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘ড্রাইভ টেস্ট’ করেছে বিটিআরসি। দুই সিটি করপোরেশন বাদে ঢাকা বিভাগের ৩৯টি উপজেলায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। তবে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। গতকাল বুধবার বিটিআরসির ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বিটিআরসি ফোরজির ডাউনলোড গতি কমপক্ষে ৭ মেগাবাইট নির্ধারণ করেছে। অথচ পরীক্ষায় দেখা গেছে, রবির গতি সেকেন্ডে ৬ দশমিক ৪১ মেগাবাইট, গ্রামীণফোনের ৬ দশমিক ৯৯ মেগাবাইট। শুধু বাংলালিংক ডাউনলোডের নির্ধারিত গতি নিশ্চিত করেছে, সেকেন্ডে ৮ দশমিক শূন্য ১ মেগাবাইট।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের অবস্থা সবচেয়ে দুর্বল। ফোরজিতে ২ দশমিক ৮০ মেগাবাইট গতি দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। থ্রিজি সেবাও নিশ্চিত করতে পারেনি টেলিটক। বিটিআরসি নির্ধারিত থ্রিজির গতি সেকেন্ডে ২ মেগাবাইটের মধ্যে টেলিটকের পাওয়া গেছে সেকেন্ডে ১ দশমিক ৭৬ মেগাবাইট।
থ্রিজির ক্ষেত্রে বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রামীণফোনের সেকেন্ডে ২ দশমিক ২৪, রবির ৮ দশমিক ৫১ ও বাংলালিংকের ৩ দশমিক ৩১ মেগাবাইট গতি পেয়েছে বিটিআরসি।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চতুর্থ প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বা ফোরজি সেবা চালু করে। পরে এ সেবা চালু করে টেলিটকও।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৯২ লাখ। এর মধ্যে ফোরজি গ্রাহক ৬ কোটি ৯১ লাখ আর থ্রি-জি গ্রাহক ৩ কোটি ৬২ লাখ।
এর মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক ১২ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে ফাইভ-জি পরিষেবা চালু করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন