টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মার্চ। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। এই নির্বাচনে কোনো প্যানেল না থাকলেও সমমনা প্রার্থীদের একাংশ জোট হয়ে নির্বাচন করছেন। রোকেয়া প্রাচী ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের নেতৃত্বে মোট ২৭ জন প্রার্থী এক হয়ে গত মঙ্গলবাররাজধানীর গুলশান ক্লাবে একটি পরিচিতি সভা ও প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে। এসময় সমমনা প্রার্থীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরে ভোট চান এবং টেলিপ্যাবের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। রোকেয়া প্রাচী বলেন, শিল্পবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। আমাদের নাটক ইন্ডাস্ট্রি খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। আমরা এগিয়ে এসেছি পরিবর্তনের জন্য। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে, টেলিপ্যাবকেও উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে চাই। প্রযোজকের মুখে হাসি ফুটিয়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাই একসাথে কাজ করব। প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে প্রাচী বলেন, প্রযোজক বাঁচলে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে, আমরা তাদের কথা বলতে চাই, তাদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এই ইন্ডাস্ট্রির বয়স কম হয়নি, কিন্তু আমাদের প্রযোজকদের অর্থের স্বার্থের নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা সংগঠনের পক্ষে, প্রযোজকদের পক্ষে কাজ করতে চাই। কেউ কেউ একা এগিয়ে যাবে, আর অন্য সকলে হতাশ হয়ে হারিয়ে যাবে, তা হবে না। আমরা একসাথে চলব। প্রযোজকদের লগ্নি ফেরত এবং তাদের সম্মান রক্ষায় কাজ করবেন জানিয়ে রোকেয়া প্রাচী বলেন, দেশে বর্তমানে অনেক টিভি চ্যানেল হলেও আমাদের কাজের পরিধি বাড়েনি, বরং কমেছে। সেই জায়গার পরিবর্তন করতে চাই। অনেক প্রযোজক কাজ করতে পারছেন না। তাদের কাজের জায়গা তৈরি করতে চাই। দিনশেষে প্রযোজকদের মুখে হাসি ফাটাবো। সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, দেশে অনেক চ্যানেল থাকা সত্ত্বেও জায়গাটা ভালো নেই। আমরা নির্বাচিত হলে নতুনভাবে সবকিছু ঢেলে সাজাবো। আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার আগে কেউ দেয়নি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, এত বছর যে কাজ হয়নি, তা আমরা করতে চাই। এরই মধ্যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সমস্যার কথা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। আমরা কাজের পরিবেশ আরও বড় করব। আমাদের টার্গেট প্রযোজকদের বাচাঁনো এবং কিভাবে মান উন্নয়ন করা যায়। প্রতিযোগিতার বাজারে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২৭টি পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মনোয়ার হোসেন পাঠান ও রোকেয়া প্রাচী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজু মুনতাসির ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন