উখিয়া-টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ১২তম দফার প্রথম ধাপে স্বেচ্ছায় ১ হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছেড়েছে। বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে উখিয়া কলেজের মাঠ থেকে পুলিশি পাহারায় প্রথম পর্বে ২৭টি বাসে ভাসানচরের জন্য রওনা হয় এসব রোহিঙ্গা নারী পুরুষ। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বিতীয় ধাপে আরো হাজারাধিক রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশে উখিয়া ছাড়ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, ১২তম দফার প্রথম ধাপে ১৪৩৭ রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছে। পূর্বের নিয়মে তারা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এগারো তম দফায় ১৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান। রোহিঙ্গার সাথে অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ স্কট ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িও রয়েছে।
এর আগে, বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার মাধ্যমে উখিয়া কলেজ মাঠে আসেন রোহিঙ্গারা। অনেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও আসেন ট্রানজিট পয়েন্টে। এগারো দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা এবং এর আগে ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান বলে জানান ১৪-এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) নাইমুল হক।
এদিকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির আরাকান রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন