বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প উদ্বোধনের তারিখ যেন আর হেরফের না হয় : প্রকল্প পরিচালক তৈরি হবে আঞ্চলিক শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোন ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ কাজের অপেক্ষা

একলাছ হক ও মো. শওকত হোসেন | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

পদ্মা সেতু প্রকল্পে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগামী ২৩ জুন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ। পিচ ঢালাই, মিডিয়ান তৈরি, ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন, মুভমেন্ট জয়েন্ট, ব্লিস্টার ভায়াডাক্টের মতো কাজগুলো শেষ হলেই গাড়ি চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়ে উঠবে সেতুটি। সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৪০নং স্প্যানে বসানোর মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ল্যাম্পপোস্ট বসানো কাজ। চলছে কার্পেটিংসহ খুঁটিনাটি কাজ। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সেতুর দুই পাড়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক। এরই মধ্যে মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯১ শতাংশ।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এবছর ২০২২ সালের জুন মাসে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে।

এদিকে, নানা জটিলতায় কিছুটা পিছিয়ে গেছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগের কাজ। ফলে একই দিনে চলছে না ট্রেন। যদিও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দিয়েছেন ৬ মাস পিছিয়ে আগামী ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল শুরু হবে। আর এজন্য ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত মাত্র ৪২ কিলোমিটার রেলপথ বসানোর কাজ করছে রেলওয়ে। চলতি জুনে পদ্মা সেতু পরামর্শকদের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সে কারণে পরামশর্কদের সঙ্গে নতুন করে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি করতে প্রায় ৯৪০ কোটির ৪০-৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫০ কোটি টাকা বাড়াতে পারে বলে স¤প্রতি রেল ভবনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প পর্যালোচনা সভাসূত্রে জানা গেছে।

দুর্ঘটনা বা অনিবার্য প্রয়োজনে পদ্মা রেল সেতুর ওপর থেকে যাত্রীদের নিচে নেমে আসার জন্য সিঁড়ি তৈরির চলমান কাজ বন্ধ করতে চিঠি দিয়েছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক। রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালককে দেয়া চিঠিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এতে পদ্মা সেতু ঝুঁকিতে পড়বে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালককে সম্প্রতি এই চিঠি দেয়া হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথ যাচ্ছে যশোরে। এই রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৩ কিলোমিটার হবে পুরোপুরি এলিভেটেড (উড়াল)। যশোর পর্যন্ত রেলপথের কোথাও থাকবে না কোনো লেভেল ক্রসিং। এতে সময় বাঁচবে, ঘটবে না দুর্ঘটনা। দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ হতে চলেছে এটি। সেতুর পাশাপাশি পুরোদমে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজও। তবে চলতি বছর সড়ক সেতু খুলে দিলেও রেল চলতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগের আওতায় পড়ছে পদ্মা সেতুর কাছে মাওয়া অংশ। এ অংশে পদ্মা সেতু মূলত সড়কপথ থেকে অনেক উঁচু দিয়ে নির্মিত হয়েছে। সড়কপথের সঙ্গে মিল রেখে ২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার হচ্ছে উড়াল রেলপথ। তৃতীয় অংশেও জাজিরায় উড়াল রেলপথ নির্মিত হবে। মাওয়ার মতো জাজিরা অংশেও অনেক উঁচু দিয়ে নির্মিত হয়েছে সড়কপথ। মূলত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই উড়াল সড়ক নির্মিত হয়েছে। সড়কের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই অংশেও ৪ দশমিক ০৩ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মিত হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের উড়ালপথে কোনো পাথর থাকবে না। অত্যাধুনিক এই উড়াল রেলপথে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য মতে, বর্তমান সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারভুক্ত (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পগুলোর মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর কাজ ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ, মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৩ দশমিক ৫০ শতাংশের কাজ। গত ২০ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ছিলো ৮৯ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ছিলো ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ গত মাসের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মূল সেতুর কাজের বাকি ছিলো ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত কয়েক মাসে অগ্রগতি আধা শতাংশ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারিতে হয়েছে দ্বিগুণ। চলতি মাসেও সেতুর কাজের অগ্রগতি বেড়েছে।

সেতু প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮৯ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৮০ ভাগ। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এদিকে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এছাড়া ভ‚মি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

অন্যান্য (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) খাতে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ক্রমিক- ৩,৪ এবং ৫ এ মোট ৭ হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে ওয়াটার প্রুফিং মেমব্রিনের কাজ ৪৯ দশমিক ৩২ ভাগ, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং ৫৬ দশমিক ২৮ ভাগ, মূল সেতু কার্পেটিং ৩০ দশমিক ৫২ ভাগ, ভায়াডাক্ট মুভমেন্ট জয়েন্ট ১০০ ভাগ, মূল সেতু মুভমেন্ট জয়েন্ট— ১০০ ভাগ, ল্যাম্পপোস্ট ১৯ দশমিক ৫৪ ভাগ, এ্যালুমিনিয়াম রেলিং এর কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া গ্যাস পাইপ লাইন ৯৮ দশমিক ৮১ ভাগ এবং ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের কাজ ৭৬ ভাগ সম্পন হয়েছে।

প্রকৌশল বিভাগ জানায়, পদ্মা সেতু আগামী ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে বিশাল কর্মকান্ড চলছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর দ্বার খুলে দেয়ার দিকে ক্রমেই ধাবিত হচ্ছে। সেতুর একদিকে চলছে কার্পেটিং আরেক দিকে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ। প্যারাপেট ওয়ালের ওপর আগে তৈরি করে রাখা লাইটিং ব্লিস্টার সেগমেন্টে ক্রেনে টেনে পোস্টটি বসানোর পর স্ক্রু দিয়ে আটকে দেয়া হচ্ছে। ১১ দশমিক ২০ মিটার দীর্ঘ এই ল্যাম্প পোস্টই রাতে সেতুকে আলোকিত রাখবে। আগামী মাসেই সব পোস্ট বসানো সম্ভব হবে। সাড়ে ৩৭ মিটার দূরত্বে প্রতিটি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হচ্ছে। মূল সেতুতে বসছে ৩২৮টি পোস্ট।

আর মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১ ও জাজিরা প্রান্তে বসবে ৪৬টি পোস্ট। আর পুরো সেতু জুড়েই চলছে ঘষামাজাহ নানারকম অলঙ্কারিক কাজ। মূল সেতুর মধ্যে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে সøাব, ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে সøাব ও ৫ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট বসানো হয়েছে। আর মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপারটি গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি ওবং ৮৪টি রেলওয়ে আই গার্ডারের মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) দ্রæতগতিতে সেতুর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে বিশেষ উদ্যমে চলছে সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ। সেতুটি খুলে দেয়ার আশায় এখন দিন গুনছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। স্থানীয়রা জানান, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলছে। এ অঞ্চল হবে দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোন।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ইনকিলাবকে বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি স্বপ্নের প্রকল্প, সেতুটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা গুলোর অর্থনীতির চাকা ঘোরার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান। সহজ হবে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ। মানুষের ভাগ্যবদলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করছে সেতুটি। সেতু চালু হলে কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে তাই শিল্পকারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। পুরো মুন্সীগঞ্জে মিলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। সেতু চালু হলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর পুরোপুরি এক্টিভ হয়ে যাবে তখন দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি পরিবর্তন হবে।

সরকারি লৌহজং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিন্সিপাল মোজাম্মেল হক বলেন, সকল প্রতিক‚লতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থে এই সেতু নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস, দৃঢ়তা, মনোবল, দূরদর্শীতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ লাভ করতে পেরেছে। পদ্মা সেতু উন্নয়নের মাইল ফলক যা এদেশের মানুষের কাছে নতুন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই সেতু নির্মাণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাব মর্যাদা আরো উজ্জ্বল করেছে।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন বলেন, গত বছরের ২৫ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়। মাওয়া প্রান্তে এখন পর্যন্ত ১৮টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। তবে প্রথমবারের মতো মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানো শুরু হলো। মূল সেতুতে প্রথমদিনে মোট পাঁচটি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। একটি থেকে আরেকটি ল্যাম্পপোস্টের দূরত্ব ৩৮মিটার। ল্যাম্পপোস্টগুলো চীনের তৈরি। প্রতিঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। প্রতিটি পোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি ও দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বসানো হবে ১৭৫ ওয়াটের এলইডি বাল্ব। ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হলে পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুটি যথাসময়ে চালু করতে কাজ এগুচ্ছে ধাপে ধাপে। আমাদের মূল লক্ষ্য জুন মাসে পদ্মা সেতু চালু করা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই উদ্বোধনের তারিখ যেন আর হেরফের না হয়।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সর্বমোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৯১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা মোট বাজেটের ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। যার মধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পুরো সেতুতে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হবে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৮৭টি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (16)
Shamshuddin Ahmed ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫২ এএম says : 0
ওরা অনেক চেষ্টা করেছে যাতে পদ্মাসেতু না হয় কিন্তু মাননীয় প্রধান জননেত্রী সেখ হাসিনা চেলেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তা আজ বাস্তবে পরিণত হল অভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জয় বাংলা।
Total Reply(0)
প্রভাকর পাল ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫২ এএম says : 0
সারা বি‌শ্বের ম‌ধ্যে সৎ , সফল ও সেরা রাষ্ট্র নায়ক‌দের ম‌ধ্যে অন‌্যতম একজন হ‌চ্ছেন বাংলা‌দে‌শের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা
Total Reply(0)
Tapon Kumar ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫২ এএম says : 0
পদ্ধা সেতুর সাথে সাথে , ফরিদপুর কে,বিভাগ ঘোষণা করার জন্ম অনুরোধ করছি।
Total Reply(0)
MD Kashem ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৩ এএম says : 0
অসংখ্য ধন্যবাদ ও অগণিত শ্রদ্ধা জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।
Total Reply(0)
Md Abdul Jalil ১২ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৩ এএম says : 0
সব ঠিক আছে মোটরসাইকেল চালোনার আলাদা রাস্তা রাখা হয় নাই
Total Reply(0)
Faruki ১২ মার্চ, ২০২২, ১:০২ পিএম says : 0
Excellent decision. Please keep it up.
Total Reply(0)
Faruki ১২ মার্চ, ২০২২, ১:০৩ পিএম says : 0
Excellent decision. Please keep it up.
Total Reply(0)
Md.Robiul Islam ১২ মার্চ, ২০২২, ১:৫৩ পিএম says : 0
আমার জানামতে বাংলাদেশে যত উন্নয়ন কাজ হয়েছে সেটা একমাত্র বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমনএী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে ।এর আগের সরকারের আমলে বাংলাদেশে এত উন্নয়ন করতে পারে নাই,বা ভবিষ্যতে পারবে না ।
Total Reply(0)
আবুল শাদীদ আহমেদ ১৩ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৫ এএম says : 0
বাঙালী জাতির ইতিহাসে যে বড় বড় অর্জন রয়েছে তা আমাদের গর্বিত করে, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে এমন ঘটনা একাধিক। প্রথমতঃ ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মায়ের ভাষার জন্য জীবন দান,দ্বিতীয়তঃ ১৯৭১ সনে ৩০লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ও অপরিমেয় ক্ষতি স্বীকার করে ১৬ডিসেম্বর ১৯৭১এ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা। আর সর্বশেষ পালকটি যুক্ত হচ্ছে সকল ষড়যন্ত্র ও বাধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব রূপ পাওয়া, যা আমাদের দেশকে বিশ্বর কাছে সাহসী ও গর্বিত জাতি হিসেবে তুলে ধরবে। একইসাথ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট সাফল্য বয়ে আনবে। কোটি কোটি মানুষকে কাজের সুযোগ এনে দেবে। এ সেতু নির্মাণের দীর্ঘ ও কঠিন কাজের সাথে জড়িত সকলকে অভিবাদন জানাই। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বহুদিন এ বিষয়টি মনে রাখবে, পুলকিতবোধ করবে, গর্ববোধ করবে বাঙালী জাতি যত বাধাই আসুক পিছিয়ে যায় না,সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে সফলতা অর্জন করে।কোটি কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে ২৩ জুন ২০২২ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছেন। আবারও ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘয়ু করুন তিনি যেন এমনিভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আমিন।
Total Reply(0)
আবুল শাদীদ আহমেদ ১৩ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৬ এএম says : 0
বাঙালী জাতির ইতিহাসে যে বড় বড় অর্জন রয়েছে তা আমাদের গর্বিত করে, পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করে এমন ঘটনা একাধিক। প্রথমতঃ ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে মায়ের ভাষার জন্য জীবন দান,দ্বিতীয়তঃ ১৯৭১ সনে ৩০লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম ও অপরিমেয় ক্ষতি স্বীকার করে ১৬ডিসেম্বর ১৯৭১এ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা। আর সর্বশেষ পালকটি যুক্ত হচ্ছে সকল ষড়যন্ত্র ও বাধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব রূপ পাওয়া, যা আমাদের দেশকে বিশ্বর কাছে সাহসী ও গর্বিত জাতি হিসেবে তুলে ধরবে। একইসাথ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরাট সাফল্য বয়ে আনবে। কোটি কোটি মানুষকে কাজের সুযোগ এনে দেবে। এ সেতু নির্মাণের দীর্ঘ ও কঠিন কাজের সাথে জড়িত সকলকে অভিবাদন জানাই। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বহুদিন এ বিষয়টি মনে রাখবে, পুলকিতবোধ করবে, গর্ববোধ করবে বাঙালী জাতি যত বাধাই আসুক পিছিয়ে যায় না,সাহসের সাথে সামনে এগিয়ে সফলতা অর্জন করে।কোটি কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে ২৩ জুন ২০২২ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছেন। আবারও ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ তাঁকে দীর্ঘয়ু করুন তিনি যেন এমনিভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আমিন।
Total Reply(0)
MD ABDUR RASHID AKAND ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:৩২ এএম says : 0
Alhamdulillah, Alhamdulillah and Alhamdulillah. May Almighty Allah bless Bangladesh to complete all necessary of construction of the Padma Bridge smoothly in time and bless with barakat of the bridge for long.
Total Reply(0)
MD ABDUR RASHID AKAND ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:৩২ এএম says : 0
Alhamdulillah, Alhamdulillah and Alhamdulillah. May Almighty Allah bless Bangladesh to complete all necessary of construction of the Padma Bridge smoothly in time and bless with barakat of the bridge for long.
Total Reply(0)
Md. Mahfujor Rahman ১৩ মার্চ, ২০২২, ৭:৫২ এএম says : 0
এই সেতুকে দেখার জন্য প্রতি দিন হাজার হাজার পর্যটক উপস্থিত হবে। সরকার ও এলাকাবাসীর কাছে আমার আকুল আবেদন,এই সকল পর্যটকদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ও সেবার মনোভাবেও যেন আমরা উদার মনের পরিচয় দিতে পারি। আমি পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িতদের এই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনিয়োগ ও সু-ব্যবস্থা করার আহবান জানাই।
Total Reply(0)
Bir Mukhtijoddah Engr Kamal Ahmed ১৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৪০ পিএম says : 0
Honorable PM SK.Hasina, considering EID traffic problem, I like to request your honour to open Our dream sk. Hasina Padma Bridge from 1st May 2022 on trial basis during day time from 7am to 6pm . Only for light vehicle, Bus etc. Thanks and regards , Bus etc.
Total Reply(0)
Md. Amir Hossain Sardar ১৪ মার্চ, ২০২২, ৮:০৯ পিএম says : 0
খুব খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ । সকল উন্নয়ন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য । তবে একটা দিকে অবনতি নজরে পড়ছে । তা হচ্ছে গনতন্ত্র । দেশের গনতন্ত্রের কি উন্নতি করা যায় না ?
Total Reply(0)
Md. Amir Hossain Sardar ১৪ মার্চ, ২০২২, ৮:১০ পিএম says : 0
খুব খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ । সকল উন্নয়ন প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য । তবে একটা দিকে অবনতি নজরে পড়ছে । তা হচ্ছে গনতন্ত্র । দেশের গনতন্ত্রের কি উন্নতি করা যায় না ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন