নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে পৃথক ঘটনায় মোবারক হোসেন শাওন (১৮) এবং আনোয়ার হোসেন (২৮) নামের দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মোবারক হোসেন শাওনের মৃত্যুর ঘটনা তার মা বাদি হয়ে নিহতের শশুরকে আসামি করে হত্যা মামলার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার সকালে নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাহা উদ্দিন স্বপনের ছেলে মোবারক হোসেন শাওন ও সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নয়া রাজারামপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন স্বপনের ছেলে মোবারক হোসেন শাওন চৌমুহনী বাজারের তাহেরা ট্রেডার্সে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে। এ কাজের সুবাদে গত ৩-৪মাস আগে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুল মতিন তার পালক মেয়ের সাথে জোরপূর্বক শাওনের বিয়ে দেয়। এ বিয়ে নিয়ে তাদের সাথে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় তাহেরা ট্রেডার্সে বিষ জাতিয় কিছু খেয়ে মাটিতে লুটে পড়ে শাওন, যা দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। পরে দোকানের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করলে সিএনজি যোগে তার লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শশুর আবদুল মতিন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মোবারক হোসেন শাওনকে তার শশুর মতিন বাড়ি থেকে ডেকে নরোত্তমপুর ইউনিয়নে তাদের বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় শাওনের মা সামছুন নাহার বাদি হয়ে আবদুল মতিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি।
অপরদিকে শনিবার রাতে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের নয়া রাজারামপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক বিষয়ে দীর্ঘদিন হাতাশ থাকা আনোয়ার বিষপ্রাণে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছেন ওসি হারুন অর রশিদ। ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন