উত্তর : আফসোস যে,আমাদের বর্তমান মুসলিম সমাজে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের আগ্রহ অনেক কম।আমরা আল্লাহ ও ইসলাম না বুঝেই অন্ধভাবে ইসলামকে গ্রহণ করেছি।আমরা আজ বংশগত মুসলিম।ভাবা উচিত, আমরা কি আদৌ মুসলিম হতে পেরেছি?আমরা মুসলিম পরিবারে জন্মেছি তাই একত্ববাদে বিশ্বাসী।যারা কাফেরের ঘরে জন্মেছে তারাই কাফের নয়,যারা মুশরিকের ঘরে জন্মেছে তারাই মুশরিক নয় বরং জন্মসূত্রে সবাই মুসলিম।জন্মের পর পিতামাতাকে কেন্দ্র করেই ব্যক্তি ধর্মকর্ম পালন করে।কেউ মুসলিম,কেউ ইয়াহুদী,কেউ হিন্দু,কেউ খ্রীষ্টান,কেউবা আবার কত কি রূপের পরিচয় বহন করে।এখন কথা হলো আমার বাপ-মা মুসলিম তাই বলেই কি আমি ইসলাম ধর্ম পালন করি?আমার বাপ-মা কাফের হলে আমি কি মুসলিম হতে পারতাম?এই প্রশ্ন গুলোর দিকে নজর দিলে প্রায়ই অর্ধেক মুসলমানই সঠিক উত্তর দিতে পারবে না।আমরাও আজ জাহেলি যুগের মত বাপ-দাদার ধর্ম পালন করছি।আমাদেরকে ইসলাম জানতে হবে।ইসলাম জানার পরই ইসলাম মানতে হবে।যেমনি ভাবে আইন না পড়ে আইনজীবী হওয়া যায় না,বিজ্ঞান না পড়ে বিজ্ঞানী হওয়া যায় না,ড্রাইভিং না শিখে গাড়ি চালানো যায়না তেমনি ভাবে ইসলাম না জেনে ইসলাম মানা যায় না।আমরা স্রষ্টার উপর ইমান এনেই আমাদের দায় শেষ করিনি বরং আমাদের দায়িত্ব শুরু করেছি মাত্র।কিন্তু আমরা মুসলমানরা ইমান আনার পরই আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব শেষ করেছি।ফলে প্রকাশ্যে সোশাল মিডিয়ায় এসে স্রষ্টার নামে কালিমা ও দোয়া-দুরুদ পড়ে আত্মহত্যা করতে দেখা যায়।স¤প্রতি যে ব্যক্তিটি ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা করেছেন আল্লাহর প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিলো কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও ইসলাম কে না জানার কারণে এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।লোকটি ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যার ভয়াবহ পরিণতি জানলে কখনো এভাবে আত্মহত্যা করতেন বলে মনে হয়নি।ধর্মীয় জ্ঞানে গুণান্বিত ব্যক্তি নিজেকে নিজে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়না।গবেষণায় বলছে,ইসলাম জানা পন্ডিত কখনো আত্মহত্যা করেনা।যে সকল মুসলমানরা আত্মহত্যা করে তারা প্রায় সবাই নাম মাত্র মুসলমান হলেও তাদের মধ্যে ধর্মীয় তেমন কোনো জ্ঞান নেই।তাইতো আল্লাহ বলেছেন যারা জানে আর যারা জানেনা তারা কখনো সমান হতে পারেনা।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাদেরকে ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের মধ্যদিয়ে ধর্মকে মানার তাওফিক দান করুন। আমীন।
উত্তর দিচ্ছেন : মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফভত ত্বোহা। প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন