ট্রেন থেকে পড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বন্ধুরা লাপাত্তা
কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয়, বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনোদিন হারায় না- উইলিয়াম শেক্সপিয়রের এই চিরন্তন বাণীর ঠিক উল্টোটি ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব আলমের সঙ্গে।
জীবিত অবস্থায় বন্ধুরা অনেকেই তার সাথে থাকলেও দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার সময় তার পাশে কেউ নেই। নিশ্চিত বিপদ জেনে ‘মরদেহ’ ভেবেই তাকে ফেলে চলে গেছে বন্ধুরা।
পুলিশ বলছে, কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপরে ট্রেন থেকে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহাবুব আলমের মৃত্যু হয়েছে। তার সঙ্গে বন্ধুরা থাকলেও তারা কোন তথ্য দেয়নি এমনকি তারা লাপাত্তা।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাহবুব আলমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলওয়ে থানার (ওসি) মনজের আলী জানান, ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহবুব আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে থাকতেন তিনি। তার বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায়। তিনি জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র মো. আব্দুল হান্নান মিঠুর ছেলে। তার কাছে থাকা আইডি কার্ড ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেল রাতে চিত্রা এক্সপ্রেসে করে বন্ধুদের সঙ্গে কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়িতে আসছিলেন মাহবুব আলম। রাত ১টার দিকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপরে সেলফি তুলতে গিয়ে পড়ে যায় সে। তার মুখ ও দুই হাটুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাহবুবের মৃত্যুর পর তার পাশে বন্ধুদের পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়ায় তার বন্ধুরা তাকে ফেলে রেখেই চলে যান।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান মিঠুর সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গেই মাহবুব কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। রাতে মোবাইল ফোনে ওর মায়ের সঙ্গে এমনটিই কথা হয়েছিল। তবে ওর মা বন্ধুদের পরিচয় জানতে চাইলে সে এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি। আমি এখন কুষ্টিয়ার দিকে রওয়ানা হয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন