শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, বাঙালির জন্য যে ত্যাগ তা যাতে সব শিশু জানতে পারে সেজন্যই ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতরাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমে নিযুক্ত হবার সর্বনিম্ন বয়স সংক্রান্ত সরকার আইএলও কনভেনশন ১৩৯ অনুস্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৪ বছরের নিচে কেউ শিশুদের কাজে নিয়োজিত করতে পারবে না। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ২০৩০ সালের আগেই সরকার শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেয়া ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১২টি বিভাগীয় শহর এবং ২ টি উপজেলায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুরা ঝামেলা ছাড়াই উপবৃত্তির টাকাটা পেয়ে যাবে। প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুরাই যাতে এই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এই সুবিধাটা পায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না। জাতির পিতা জীবনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন বলেই বাঙালি জাতি স্বাধীনতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কাছে এ জাতি চির ঋণী। বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা চরম ভাবে হ্যার্থ হয়েছে। যারা দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বানাতে চেয়েছিল তারাও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়নশীল থেকে মধ্যম আয় এবং দ্রুতই উন্নত দেশে উপনীত হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন