চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় অনুমোদিত স্থানের বাইরে ২ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ডিএফপি সার মজুদ রাখায় এক রাসায়নিক সার (সাব-ডিলার) মেসার্স তৈমুর এন্ড ব্রাদার্সকে ৬০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন । ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ।
২৮ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গোয়েন্দা শাখার তথ্য মতে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার শরিফ আহমেদ একটি টিম নিয়ে নাচোল পৌর এলাকার মাঠপাড়ার মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (মেসার্স তৈমুর এন্ড ব্রাদার্স) নাচোল পোস্ট অফিস মোড়ে বিএডিসি সার ডিলার তরিকুল ইসলাম এর দোকানে অভিযান চালিয়ে অনুমোদিত স্থানের বাইরে সার মজুদ রাখায় ৬০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং ৩০ মার্চ বুধবার এর মধ্যে অনুমোদিত স্থানে সার রাখার নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য যে, নাচোল উপজেলায় ১০জন বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার রয়েছেন ।এদের মধ্যে মেসার্স জামিরুল ইসলাম, নাচোল বাজার এর আওতায় পৌর এলাকার হাজিডাঙ্গায় আনারুল ইসলাম সাব ডিলার ছিলেন। কিন্তু আনারুল ইসলাম সাব ডিলার থেকে বাদ হলে উক্ত স্থানে সাব ডিলার শূণ্য হওয়ায় পরবর্তীতে তৈমুর রহমান সাব ডিলার পাই।
সরকারি নিয়ম মতে অনুমোদিত স্থানে ডিলারদের সার বিক্রি করতে হবে। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মেসার্স তৈমুর এন্ড ব্রাদার্স বিএডিসি সার ডিলার তরিকুল ইসলামের দোকানে সার বিক্রি করে আসছিল।
অপরদিকে উপজেলায় ১০ জন অনুমোদিত বিএডিসি সার ডিলার রয়েছেন এদের মধ্যে মেসার্স তরিকুল এন্ড ব্রাদার্স এর অনুমোদিত সার বিক্রয় কেন্দ্র উপজেলার রাজবাড়ী হাট ।কিন্তু তিনিও অনুমোদিত স্থানে সার বিক্রি না করে নাচোল পোস্ট অফিস মোড়ে মেসার্স তৈমুর এন্ড ব্রাদার্স এর আড়ালে সার বিক্রি করে যাচ্ছেন । যার ফলে অনুমোদিত স্থানে সার বিক্রি না করায় কৃষকরা সময় মত সার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন