নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লকডাউন অমান্য করায় অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন চলছে। তবে রোববার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও প্রথম দিনের মত বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ‘ঢিলেঢালা’ভাব। আর তা মানাতেও খুব বেশি কড়াকড়ি দেখা যায়নি। বিশেষ লকডাউনে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও দোকানপাট বন্ধ রাখা ছাড়া জনজীবনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
রোববার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪০টি মামলায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করে জেলা প্রশাসন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করে নোয়াখালী জেলা পুলিশ।
রোববার (৬জুন) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৬টি টিম অভিযান চালিয়ে ৪০ মামলায় ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে সর্বোচ্চ দুজন যাত্রী পরিবহনে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে আরোপিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও প্রচারণা চালানো হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনিষেধ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেল করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। রোববার ছিল ওই লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন