প্রায় তিন যুগ ধরে গান লিখছেন মিলন খান। এ সময়ে প্রায় সহস্রাধিক গান লিখেছেন। তার লেখা গান গেয়েছেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা। সেসব গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। ১৯৮৭ সালে তার লেখা প্রথম গান ‘ময়না’, গেয়েছেন ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। এ গান আইয়ুব বাচ্চু’র ক্যারিয়ারে প্রথম সুপার হিট গান। তারপর দেশবরেণ্য প্রায় সব শিল্পীর জন্য মিলন খান লিখেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। তার লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, মিতালী মূখার্জীর কণ্ঠে ‘সেই যে তুমি চলে গেলে’, আইয়ুব বাচ্চু-শাকিলা জাফরের দ্বৈতকণ্ঠে ‘ঘড়ির কাঁটা থেমে যাক’, তপন চৌধুরীর কণ্ঠে ‘পাথর কালো রাত’, শুভ্রদেবের কণ্ঠে ‘এই সেই বুকের জমিন’, ডলি শায়ন্তনীর কণ্ঠে ‘নিতাইগঞ্জে জমছে মেলা’, সৈয়দ আব্দুল হাদীর কণ্ঠে ‘বড় কঠিন এ দুনিয়া’, রবি চৌধুরীর কণ্ঠে ‘সাদা কাফনে আমাকে জড়াতে পারবে’, এ্যান্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে ‘ভুলে যাও বন্ধু’, আসিফ আকবরের কণ্ঠে ‘আমার স্বপ্নের নায়িকা তুমি’, মনির খানের কণ্ঠে ‘গতকাল ও জানতাম তুমি শুধু আমার’, এসডি রুবেলের কণ্ঠে ‘ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিও আমার চতুর্দোলা’। মিলন খান বলেন, আমি কাজী নজরুলের বিদ্রোহী চেতনায় বিশ্বাসী। বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে স্বদেশের সংস্কৃতিকে আপন মর্যাদায় উন্নীত করতে ‘গান রচনার’ মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি জানি, এ কাজটা খুব সহজ নয়। সহজ হতো, যদি অন্যের গান থেকে এক লাইন, দুই লাইন ধার করে নিজের গানের বাণী সাজাতাম। সচেতন ও সমঝদার শ্রোতাগণ খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, আমার গানের বাণী ও ভাব সম্পূর্ণ মৌলিক। আমি ব্যক্তিসত্বায় যেমন স্বতন্ত্র্য, তেমনি আমার সঙ্গীত সাধনাও সবার চেয়ে আলাদা। এটাই আমার স্বকীয়তা। মিলন খানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা চাঁদপুরে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে পেশাগত জীবন শুরু হয় প্রভাষক হিসেবে নিজের শহর চাঁদপুরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন