পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস ২০ রোজার মধ্যে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় কাউন্সিল। সংবাদ সম্মেলনে শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে আইবিসির প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা এবং পোশাক খাতের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণার উদ্যোগ নেয়ারও দাবি জানানো হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইবিসির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাজু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিসির সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ। এর বাইরে কাউন্সিলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদুল আলম রাজু বলেন, কতিপয় পোশাক কারখানা প্রতি বছর ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের মজুরি ভাতাদি পরিশোধ না করে পালিয়ে যান অথবা টালবাহানা করেন। এতে অনেক শ্রমিকদের আনন্দের ঈদ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের লক্ষ্যে সরকার গত মাসে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করেছে। কমিটির ১৮ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সরকারপক্ষের; মালিকপক্ষের মাত্র ৩ জন। ‘আবার কমিটিতে মালিকপক্ষের ৩ জনের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সেক্টর হতেই দুইজন (বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ) প্রতিনিধি রাখা হয়, কিন্তু তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তর শ্রমিক সংগঠনের জোট হলেও এই জোট থেকে কোনো প্রতিনিধি নেই।
সংগঠনটির দাবি, মজুরির হার ঘোষিত হওয়ার পর তিন বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, করোনার প্রকোপসহ বিভিন্ন কারণে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। তাদের জীবনযাপনের মান উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এ কারণে বর্তমান মজুরিতে শ্রমিকদের পক্ষে ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পোশাক খাতের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নিয়ে বলা হয়, ২০১৮ সালে সরকার পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করেন। এরপর এ খাতের মালিকরা উৎপাদন বাড়ানোর নামে শ্রমিকদের ওপর অত্যধিক কাজের চাপ বাড়ায়। এ কারণে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি বাড়েনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন