সুন্দরবনে ইকোট্যুরিজমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিকের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে বহুমুখী গবেষণার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউএসএইড এর সহায়তায় বাংলাদেশ ইকোট্যুরিজম এন্ড কনজারভেশন এলায়েন্স (বিইসিএ) এর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ ৬ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টায় ভিসির কার্যালয়ে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ও বিইসিএ’র পক্ষে চিফ অব পার্টি ক্রিস শিক এমওইউ স্বাক্ষর করেন। পরে তা উভয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রাসঙ্গিক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ভিসি বলেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও পরিবেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইকোট্যুরিজম ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে একাডেমিক ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্ব এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই এমওইউর লক্ষ্য- বাংলাদেশের অন্যান্য সংরক্ষিত অঞ্চলের সাথে সুন্দরবন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পর্যটন প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকার জন্য পর্যটন শাসন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, উন্নতভাবে পরিচালিত এবং আরও অন্তর্ভুক্ত পর্যটনের ফলে বনের ওপর নির্ভলশীল জনগোষ্ঠির পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং মৌলিক মানব সেবা (যেমন: জীবিকা, পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য) সুবিধা বৃদ্ধি, পর্যটন-সম্পর্কিত বিনিয়োগ, গবেষণা এবং বাজার সংযোগ বৃদ্ধি করা।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ফরেস্ট্রি এন্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস্, সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের মাইলস পার্টনারশীপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ এন্ড ইনসাইট) ক্রিস এডামস্, সলিমার ইন্টারন্যাশনালের কনজারভেশন এন্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ক্লোই কিং উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৃহত্তর সুন্দরবনের ইকোট্যুরিজম এবং সংরক্ষণ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মশালা সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন