গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে চার দিন আটকে রেখে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়েছে । এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের স্বীকার ওই স্কুল ছাত্রী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার শশিকর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ৪ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। স্হানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ২৬ মার্চ ওই স্কুল ছাত্রী শশীকরের নীজ বাড়ি থেকে মামা বাড়িতে যাওয়ার পথে পিড়ারবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে কোটালীপাড়া উপজেলার পলোটানা গ্রামের কালু বাড়ৈর ছেলে গোপাল বাড়ৈ (৩০), খোকন বাড়ৈর ছেলে আটল বাড়ৈ (২২), রামানন্দ বৈদ্যের ছেলে তাপস বৈদ্য (৪০) ও মুশুরিয়া গ্রামের নারায়ণ বালার ছেলে বরুন বালা (২৩) জোরপূর্বক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাকে গোপাল বাড়ৈর বাড়িতে ৪ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় বলে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান। সেখান থেকে ওই স্কুল ছাত্রী বাথরুমের কথা বলে পালিয়ে প্রথমে তার নানী রেখা বালার বাড়িতে আশ্রয় নেয় পরে নীজ বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে খুলে বলেন।বিষয়টি স্হানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসায় ব্যার্থ হয়ে ওই ছাত্রীর বাবা অবশেষে মামলা করেন। আজ শুক্রবার কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান জানান ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের ধারণা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সব কিছু জানা যাবে,আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন