কামরুল হাসান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিনের পুরানো হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতিকরণ করা হলেও জরুরি বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। বর্তমানে ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ায় সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও রোগীদের। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। জরুরি বিভাগের ইনচার্জ আবুল কালাম মৃধা বলেন সর্বক্ষণ ঝুঁকির মধ্যে থেকে রোগীদের সেবা দিতে হয়। এটাকে অচিরেই নির্মাণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা পঃ পঃ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ প্রেমানন্দ ম-ল বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানানো হয়েছে ও উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি। এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ তারা ঠিকমত হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের পান না তারা রোগীদের রেখে অধিক অর্থের লোভে বাহিরের ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে যান। হাসপাতাল থেকে কোন ওষুধ দেয়া হয় না, কাউন্টারে ৩ টাকার টিকিটে ৫ টাকা রাখা হয়। আউটডোরে শুধু গ্যাসের ট্যাবলেট ও স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই দেয়া হয় না, তাও আবার খোলা থাকে ১টা পর্যন্ত। রোগীরা আরো জানান, জরুরি বিভাগে রোগী নিয়ে গেলে ব্লেড, সুই, সুতা, ব্যান্ডেজ, ইনজেকসন সবকিছুই যদি নিজেদের টাকায় কিনতে হয় তাহলে সরকার যে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেয়ার কথা বলেছে সেটা বাস্তবায়ন হলো কোথায়। এক্সরে মেশিন থাকলেও সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক থাকে না দাঁতের এক্সরের জন্য ফিলিম থাকে না ফলে রোগীরা সঠিক স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ যেন হাসপাতালটির করুণ এক বেহাল দশা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন