জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে । হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ সেন্টিমিটার জরুরিভিত্তিতে বাঁধের ধস ঠেকাতে না পারলে বিশাল এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উজানের পাহাড়ি ঢলে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু হলে কুলকান্দী হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের মাঝামাঝি কুলকান্দী গ্রামের মিয়াপাড়া এলাকায় দুটি স্থানে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের অন্তত ২৫ মিটার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দী শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, কুলকান্দী বাজার, মসজিদ, মাদরাসা, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শত শত বসতবাড়ি এবং হাজার একর ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি হার্ডপয়েন্ট থেকে গুঠাইল হার্ডপয়েন্টের মাঝে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২০ সালে জুন মাসে শেষ হয় প্রকল্পের কাজ। নতুন তীররক্ষা বাঁধের ২০ মিটার অংশে ধস শুরু হয়েছে। কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর হক বাবু জানান, বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে শুনেছি।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে তীররক্ষা বাঁধের ৯০ মিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেখানেই নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের তলদেশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ২০ মিটার ধসে পড়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট. জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান বাঁধে ধস দিয়েছে শুনেছি। মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে পরামর্শ করে খুব দ্রুত সময়ের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন