বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চাঁদপুরে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ১০-১৫ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত হানছে। ঢেউয়ের কারণে হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে বড়স্টেশন মোলহেড এলাকা। রোববার সন্ধ্যায় পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে সৃষ্টি হয় এ ভয়াবহ পরিস্থিতির। এ সময় আতংক ছড়িয়ে পড়ে শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন ব্যবসাকেন্দ্র পুরানবাজার ও নতুনবাজার এলাকায়। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টার এ জলোচ্ছ্বাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় শহর রক্ষা বাঁধের দক্ষিণ পাশে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্থান। শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু স্থানে ব্লক দেবে গেছে। এতে করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে বড়স্টেশন এলাকায় দর্শনার্থীদের বসার পাকা বেঞ্চগুলো উপড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, পানির এমন ভয়াবহ অবস্থা তারা আর কখনো দেখেনি। চাঁদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক লিয়াকত আলী সরকার বলেন, আকস্মিক ১০-১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হলে সেটিকে আমরা জলোচ্ছ্বাস বলি। তবে এ ঘটনা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তিনি জানান, চাঁদপুরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া লঘুচাপের প্রভাবে রোববার বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ২৬৯ মিলিমিটার। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পদ্মা-মেঘনা হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠে। এতে করে নদীতে প্রচ- স্রোত সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাসের ফলে নদী উত্তাল হয়ে উঠে। তিনি জানান, প্রতি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০-১৫ ফুট উঁচু হয়ে ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে শহর রক্ষা বাঁধে। খবর পেয়ে দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন