ব্রিটিশ হাসপাতালগুলোতে থাকা অন্তত দুই হাজার ভেন্টিলেটর বৈদ্যুতিক ত্রæটির কারণে যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভেন্টিলেটর উৎপাদনকারী কোম্পানি ফিলিপস রেসপিরোনিকস এরইমধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কোম্পানিটি বলছে, তাদের তৈরি এই যন্ত্র যে কোনো সময় কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান। ব্রিটেনের ‘দ্য মেডিসিনস এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি’ বা এমএইচআরএ জানিয়েছে, এই ভেন্টিলেটরের ভেতরে থাকা বেশ কিছু ইলেক্ট্রিকাল ত্রæটির কারণেই হঠাৎ করে এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত ব্রিটেনজুড়ে এমন পাঁচটি ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। যদিও এর কোনোটিতেই রোগীর কোনো ক্ষতি হয়নি। বিশ্বজুড়ে এমন ৩৮৯টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এরমধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন এবং চার জন গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মহামারির সময় নিজেদের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে ফিলিপস রেসপিরোনিকস। কোভিড-১৯ রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় নতুন করে ভেন্টিলেটর কিনেছিল এমএইচআরএ। রোগী যখন এতই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তিনি আর স্বাভাবিক উপায়ে নিঃশ্বাস নিতে পারেন না, তখন তাকে ভেন্টিলেটরের সাহায্য নিতে হয়। তাই হটাৎ করে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে গেলে রোগির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এখনো ফিলিপসের ভেন্টিলেটরের আসল সমস্যা শনাক্ত করা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। ফিলিপস যদিও বলছে, এই ত্রæটির আপাতত কোনো স্থায়ী সমাধান নেই। ডাচ মেডিকেল ইকুয়িপমেন্ট কোম্পানি জানিয়েছে, এখনই তারা তাদের ক্রেতাদের এই ডিভাইজগুলো বাতিল করার পরামর্শ দিচ্ছে না। কারণ, এ ধরনের দুর্ঘটনা এখনও বেশ কম। তবে এমএইচআরএ আর এই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তারা হাসপাতালগুলোকে এর বিকল্প বের করার নির্দেশ দিয়েছে। মে মাসের শেষ নাগাদ সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভেন্টিলেটর পরিবর্তনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে তারা। গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন