শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী ২০ জুন আইসিইউ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি সবাইকে ধৈর্য্য এবং সহনশীলতার সাথে মোকাবেলা করতে হবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ২০১৬ সালে যে আইসিইউ উদ্বোধন হয়েছিল সেটা কার্যকর আছে। সেখানে সাধারণ মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে করোনা রোগীদের জন্য ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে ২০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ চালু হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ শয্যা ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ হবে। যেখানে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন সুবিধা থাকবে। ১০ শয্যা সিসিইউ সুবিধা থাকবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে কাজের প্রায় ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে।
এদিকে, করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে কক্সবাজারের স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে। বিশেষ করে অক্সিজেনের অভাবে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যুতে সমালোচিত হয়েছে জেলার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সদর হাসপাতাল।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বারের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগকে শতভাগ দোষারোপ করার কিছু নেই। তবে কিছু জিনিস আছে যেটা মানুষের মৌলিক অধিকার সেটা যখন মানুষ পায় না তখন প্রতিবাদ হয়। যেমন বর্তমানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ১০ দিনেও পাওয়া যাচ্ছে না। এতে জেলার সংক্রামণের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ বলেন, পেটের ব্যাথা নিয়ে মে মাসের শুরুর দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম দেখেছি সেখানে কি চিকিৎসা হচ্ছে। কোন সিনিয়র ডাক্তার নাই, শুধুমাত্র ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়েই চলছে চিকিৎসাসেবা।
ডিককুল এলাকার নুর হোসেন বলেন, মাকে (৭৫) নিয়ে হাসপাতালে গেলে জরুরি বিভাগে ঘণ্টাখানেক বসে থাকার পর ডাক্তার এসে দূর থেকে দেখেছেন। জ্বর বলাতে কেউ হাত দেয়নি। করোনা টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া কোন চিকিৎসা হবেনা জানিয়ে দিয়েছেন। পরে ফার্মেসী থেকে ওষুধ খেয়ে এখন সুস্থ আছেন। কোন সিনিয়র ডাক্তারতো আসেনই না। আসলেও গ্লাসের ফাঁক দিয়ে কথা বলে ওষুধ লিখে দেন। এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে হাসপাতালের ১২ ডাক্তার, ২৫ জন নার্স এবং কয়েকজন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে এখানে সেবা দিতে গিয়ে করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
করোনা পজিটিভ হলে তাদের ছুটি দিয়ে আইসোলেশনে পাঠাতে হয় তাই অনেকটা ডাক্তার সঙ্কট আছে। আধুনিক আইসিইউ বসছে সেটার পূর্ণ সুবিধা পাবেন স্থানীয় মানুষ। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০ জুন সেই প্রত্যাশিত আইসিইউ চালু করা হবে বলে তিনি আশা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন