রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকার একটি বাসা থেকে মো. আরাফাত হোসেন নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরাফাতের মা ডলি আক্তার বলেন, গতকাল বিকেলে ছেলেকে পড়ালেখার জন্য বলা হয়। তখন সে আমার ওপর রাগ করে বই নিচে ফেলে বইয়ে লাথি দেয়। আমি তাকে বলি বইকে সালাম করো। বইকে সালাম না করতে চাইলে আমি থাপ্পড় দেই। পরে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতর গিয়ে দেখি গলায় গামছা দিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডলি আক্তার জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার শিলগাঁওয়ে। স্বামীর নাম দেলোয়ার হোসেন। যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। আরাফাত স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তারা দুই ভাই এক বোন। সে ছিল সবার মধ্যে ছোট।
এদিকে, উত্তর বাড্ডায় পাশাপাশি দুটি দোকানের দোকানিদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের দুজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, অন্যজনকে মারধর করা হয়। গতকাল বিকেলে উত্তর বাড্ডার সাতারকুল রহমতউল্লাহ গার্মেন্টসের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই এলাকার মুদি দোকানি সামিউলের সঙ্গে পাশের দোকানির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে পাশের দোকানি ও তার দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন সামিউল।
এতে সাইফুল হাওলাদার, তার সহোদর বাবু হাওলাদার ও সাবু হাওলাদার গুরুতর আহত হন। তাদের আরেক ভাই রাসেল হাওলাদারকেও মারধর করেন পাশের দোকানি ও তার পরিবারের সদস্যরা। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিয়ে আসলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত সাইফুলের ফুফাতো ভাই জাহিদুল হোসেন জানান, দোকানের সংস্কারকাজ নিয়ে পাশের দোকানি সামিউলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় সাইফুল ও তার ভাইদের। এর জেরে তিনভাইকে ছুরিকাঘাত ও একজনকে মারধর করেন সামিউল ও তার পরিবারের সদস্যরা। সাইফুল বরিশালের সদর উপজেলার আব্দুল খালেক হাওলাদারের সন্তান। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় থেকে ভাইদের সঙ্গে মুদি দোকান চালাতেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন