রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। তাদের মধ্যে সেগুনবাগিচায় তোপখানা রোড এলাকা থেকে তাসমিয়া তারমীন তাসমি নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তোপখানা রোডের ওই বাসায় তার পালক বাবা-মার কাছে থাকতো সে।
গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশ সংবাদ পেয়ে তোপখানা রোডের নকশী হোম একটি ভবনের ১৪ তলা একটি ফ্ল্যাট থেকে পচনশীল ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠায়।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার জানান, তোপখানা রোডের ১৪ তলা থেকে ওই তরুণী লাশ উদ্ধার করা হয়। সে তার পালক বাবা-মার সঙ্গে ওই বাসায় থাকত। তার পালক বাবার নাম আবুল কাশেম।
তিনি আরও জানান, পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে- গত দুইদিন আগে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয় তাসমি। পরে তার কোন সাড়াশব্দ ছিল না। গতকাল দরজা ভেঙে ওই তরুণীর পচনশীল লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার জানিয়েছে, প্রায় সময় সে দরজা বন্ধ করে থাকতো, আবার বের হতো। এ কারণে তারা বুঝতে পারে নাই। পরে দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তবুও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট এলাকায় একটি বাসায় বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হোসেল আলীর মেয়ে বৃষ্টি।
বৃষ্টির মা মমতাজ বলেন, ২ বছর আগে আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় বৃষ্টির। আবু বক্কর রনি মার্কেটে কাপড়ের দোকানে কাজ করে। স্বামীর পরিবারের সঙ্গে রনি মার্কেট ৯ নম্বর গলিতে একটি বাড়িতে থাকতো বৃষ্টি। বিয়ে পর থেকে সিদ্দিকের বড় বোন, ও তার স্বামী ও শাশুড়ি তাকে নির্যাতন করতেন। স্বামীর বাধাও মানতেন না তারা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৃষ্টি একটি পার্লারে কাজ করতে শুরু করে।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১টার সময় বৃষ্টি তাকে ফোন দিয়ে বলে, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করছে। তাকে রুমের ভেতর আটকে রেখেছে। এরপর কামরাঙ্গীরচরে মেয়ের স্বামীয় বাসায় গিয়ে দেখি, বৃষ্টি বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার পাশে সিদ্দিকের বোন ও তার স্বামী, শাশুড়ি বসে আছে। এসময় তারা দাবি করে, গলায় ফাঁস দিয়েছিলো বৃষ্টি। এরপর তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যাওয়া হয়। স্বামীর পরিবারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই বজলুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিস্তারিত জানার জন্য স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, আজিমপুর এলাকার একটি ২০ তলা ভবনের ১০ তলা থেকে লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে চারজন শ্রমিক নিচে পড়ে যান। এতে চার শ্রমিক আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন