ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। তবে এখনও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ বাড়ানো হয়নি। এ রুটের বহরে থাকা তিনটি ফেরি বিকল থাকায় মাত্র ১৭টি ছোট-বড় ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে। এতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরিঘাটে যানবাহনের একাধিক সারি সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঈদে ঘরমুখো ও ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের বহরে ফেরি বাড়িয়ে ২১টি ও লঞ্চ বাড়িয়ে ৩৩টি চলাচল করবে বলে জানিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি। কিন্ত ঘরমুখো যাত্রী আসা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত লঞ্চ ও ফেরি বাড়ানো হয়নি। গতকাল রোববার দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে একাধিক ফেরি বিকল হওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের একাধিক দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে গিয়ে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে সংযোগ সড়কগুলো মেরামত না হওয়ায় বাঁশ ও কাঠের সেতুর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন লঞ্চঘাট সংশ্লিষ্টরা। যশোরগামী শিমুল নামের এক যাত্রী বলেন, আর কয়েদিন পর ঈদ। এখনও ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বাড়েনি। কিন্তু এখনই ফেরিঘাটে এত যানজট, তাহলে ঈদের ৩-৪ দিন আগে অবস্থা হতে পারে? গতকাল রোববার দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, দীর্ঘদিন দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সংযোগ সেতু বিকল থাকলেও মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন ঈদ উপলক্ষে পুরনো কাঠ ও বাঁশ দিয়ে কোনোরকম জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। এতে লঞ্চঘাটে যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চও বাড়ানো হবে। ১৭টি ছোট-বড় ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পোর্ট অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চও বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্য চৌহান জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১১টি রো রো (বড়), পাঁচটি ইউটিলিটি (ছোট) ও একটি ছোটসহ মোট ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১ ফেরি চলাচল করবে। খুব দ্রুত বহরে বাকি ফেরিগুলো যুক্ত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন