শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

‘লাইভ’ সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন শুনে বিরক্ত নুহাশ হুমায়ূন

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

নির্মাতা হিসেবে বেশ আলোচনায় এসেছেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন। তার ঝুলিতে যোগ হয়েছে কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৮টায় একটি লাইভ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছেন তিনি। যেখানে এক পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাবা হুমায়ূন আহমেদের কারণে তিনি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছেন কিনা। আর এমন প্রশ্নে নুহাশ বিব্রত হয়েছেন।

লাইভ শেষে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নুহাশ লেখেন, ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না? আমি জানি না আন্তর্জাতিক একজন প্রশংসিত নির্মাতা আপনারা এই প্রশ্ন করেন কীভাবে? আপনাদের কি মনে হয়, সানড্যান্স, বুসান, এএক্সএসডাব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম- বাপের নাম দেখে তারা ইনভাইট করে?’

সে লাইভে সঞ্চালক ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। লাইভের এক পর্যায়ে তিনি নুহাশকে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’

উত্তরে নুহাশ বলেন, ‘এ জিনিসগুলো না আসলে, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে।’ এরপর বলেন, ‘আমি ইন্টারন্যাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি-ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’

প্রশ্নের সমালোচনা করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এই নির্মাতা বলেন, ‘এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাদের পার্সোনাল লাইফে ইন্টারেস্টটা বেশি দেখাই। এ প্রশ্নটা মিডিয়া থেকে বেশি আসে। মিডিয়া এ রিপোর্টগুলো করতে পছন্দ করে বেশি, আর অ্যাকচুয়াল কাজের সাকসেস নিয়ে কথা বলে না।’

এদিকে নুহাশের সেই ফেইসবুক পোস্ট ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে; মন্তব্যের অংশে বা পোস্টটি শেয়ার করে এ নিয়ে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন নুহাশের মা গুলতেকিন খান, বোন নোভা আহমেদসহ নুহাশের সহকর্মীদের অনেকেই।

গুলতেকিন খান লিখেছেন, “আপসেট হয়ো না বাবা। এ কারণেই আমি কোনো পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিই না। তারা নানাভাবে চেষ্টা করে; আমি বলি, প্রশ্ন মেইলে পাঠাও।আমি দেখলাম, কয়েকটা প্রশ্নের পর আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করে। কেউ কেউ উত্তরের এক অংশ ধরে ভিডিও বানায়, নানা অসত্য তথ্য থাকে। এটাই কী পেশাদারিত্ব?”

আর বোন নোভা আহমেদ এমন সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নুহাশকে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন