শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরের বায়োগ্রাফি ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ শিঘ্রই প্রকাশিথ হবে। গ্রন্থটি লিখেছেন সোহেল অটল। এটি প্রকাশিত না হলেও এর কিছু কিছু অংশ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এতে সঙ্গীতাঙ্গণের অনেক টনকনড়া এবং বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাওয়ার মতো তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হতে পারে। ইতোমধ্যে গ্রন্থটিতে উল্লেখ করা যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা থেকে জানা যায়, দেশসেরা দুই কণ্ঠশিল্পী জেমস ও পান্থ কানাই মাদাকাসক্ত ছিলেন। জেমস ভয়াবহ মাদক এলএসডি ও পান্থ কানাই কোকেনে আসক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে সোহেল অটল জানিয়েছেন, যেহেতু এটি আসিফ ভাইয়ের বায়োগ্রাফি, তাই তার দেয়া তথ্যই এতে স্থান পেয়েছে। বইটি শিগগিরই বাজারে আসবে। বর্তমানে এর প্রি-অর্ডার চলছে। তার মধ্যেই বইটির কয়েকটি পাতা সম্প্রতি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। বইয়ের ২০৪ নম্বর পৃষ্ঠায় সংগীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীদের মাদকাসক্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভয়াবহ সব ড্রাগে আসক্ত শিল্পীরা। সবাই না। তবে বেশির ভাগই। নাম বললে চাকরি থাকবে না টাইপের সংখ্যা এবং নাম। দেশসেরা রকস্টার জেমসের ড্রাগ নেওয়ার গল্প শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন আসিফ। আড্ডায় শুনেছেন, এলএসডি নামের এক ড্রাগে আসক্ত তিনি। পান্থ কানাই কোকেন আসক্ত। আরও অনেকেই। কার নাম রেখে কার নাম বলবেন? নানাবিধ সেসব ড্রাগ। কেউ আইস, ফেনসিডিল, কেউ হিরোইন-প্যাথেডিনে আসক্ত। এ ছাড়া আরও কত নাম- ডিএমটি, বেঞ্জোস, আইস, ক্রিস্টাল প্রভৃতি। এসব ড্রাগের সঙ্গে জড়িয়ে গল্প চলে সঙ্গীতাঙ্গনের নামি-দামি সব শিল্পী-কলাকুশলীর নামে। এ ব্যাপারে পান্থ কানাই একটি অনলাইন পোর্টালকে জানিয়েছেন,কে কী খেয়েছে আর না খেয়ে আছে, এসব নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গানের মানুষ গান নিয়েই থাকতে চাই। আর যে (আসিফ) এই মন্তব্য করেছে, সে আমাদেরই বন্ধু। সেও গানের মানুষ তারও গান নিয়েই থাকা উচিত। আপাতত এ নিয়ে আমি আর কথা বাড়াতে চাচ্ছি না। তবে এ ব্যাপারে জেমসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আসিফ আকবের ‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইটি প্রকাশ করছে সাহস পাবলিকেশন্স। প্রায় বিশ ফরমায় প্রকাশ হবে বইটি। এর প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। বায়োগ্রাফিটির ইংরেজি সংস্করণ এবং অডিও সংস্করণ প্রকাশ করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন