সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেবে পশ্চিমা সামরিক সহায়তা

রাশিয়াকে সরাসরি আক্রমণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সুস্পষ্ট

দ্য গার্ডিয়ান | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

এমন কোনো দিন যায় না যে, কিছু পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ঘোষণা করেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন সফল হচ্ছে এবং রাশিয়া ব্যর্থ হচ্ছে। এটা অবশ্যই মনোবল বৃদ্ধিকারী। কিন্তু এটা পরিষ্কারভাবে একটি অর্থহীন দাবি। রাশিয়ার অগ্রগতি ধীর হলেও তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বাস্তবতা হল, রাশিয়াকে পরাজিত করার জন্য ইউক্রেনকে আরো সশস্ত্র যুদ্ধে ঠেলে দেয়ার পশ্চিমের বর্তমান পদ্ধতি এ সঙ্ঘাতকে নিঃসন্দেহে দীর্ঘায়িত করবে এবং যত সময় গড়াবে, যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, ততই ইক্রেনীয়দের বাড়িঘর, শহর, শিল্প এবং অর্থনীতির ওপর এর ধ্বংসলীলা বাড়বে।

গত দুই মাসে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চল মূলত ডনবাসের বিচ্ছিন্ন অংশগুলোর পরিধির থেকে সম্ভবত পাঁচগুণ বেড়েছে। যদি রাশিয়া এ গতিতে ‘পরাজয়’ ভোগ করতে থাকে, তবে আরো দুই মাসের মধ্যে ইউক্রেনের সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হবে, ওডেসার মতো শহরগুলির পরিণতি মারিউপোলের মতো হবে এবং আরও হাজার হাজার ইউক্রেনীয় মারা যাবে। আরও খারাপ বিষয় হ’ল, যুদ্ধ দীর্ঘায়িদ হওয়ার সাথে সাথে, যেসব ইউক্রেনীয়রা অন্য দেশে পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম হয়ে যাবে। কারণ তাদের ফিরে আসার জন্য কোনও বাসস্থান বা কর্মক্ষেত্র থাকবে না। ইউক্রেনীয়দেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা তাই কেবল তাদের দেশটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে।

যদিও এই যুদ্ধ দ্রæত থামানোর দুটি উপায় রয়েছে, তবে সমস্যাটি হল, বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ন্যাটোর জন্য এ যুদ্ধে প্রবেশ করা তেমন কঠিন নয়। তবে এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সুস্পষ্ট এবং এ কারণেই পশ্চিমারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। অন্য বিকল্প হল, রাশিয়াকে বিস্তৃত শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে পুতিনকে রাজি করানো। পশ্চিমা নেতারা পুতিনের সাথে আলোচনায় অনীহা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তারা সার্বিয়ার সেøাবোদান মিলোশেভিচের সাথে এটি করেছিলেন, স্রেব্রেনিকায় গণহত্যার মাত্র কয়েক মাস পর এবং এর ফলাফল ছিল ডেটন চুক্তি, যা ১৯৯৫ সালে বসনিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য সবকিছুই করতে হবে।

আলোচনার ফলাফল পূর্বনির্ধারিত করার প্রয়োজন নেই। লড়াইয়ের চেয়ে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমা নেতারা যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে না পারেন, বা আরও সঠিকভাবে, রাশিয়াকে পরাজিত করার আশায় ইউক্রেনকে যুদ্ধ করতে প্ররোচনা দেন, তাহলে একটি বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে হবে যে, পুতিন কখনই পরাজয় মেনে নেবেন না। পশ্চিমা নীতি নির্ধরাকরা যদি মনে করেন যে, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও উৎসাহ সরবরাহ করলে তা রামিয়ার বিরুদ্ধে বিজয় এনে দেবে, তাহলে তারা পুতিনের উদ্দেশ্য এবং দৃঢ় সংকল্পকে মারাত্মকভাবে ভুল বুঝেছেন। অতএব, ইউক্রেনের স্বার্থে, পশ্চিমাদের এখনই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য কিছু করতে হবে, যাতে তারা রক্ষা করতে চায় এমন দেশের অন্তত কিছুটা অবশিষ্ট থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Ismail Sagar ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১০ এএম says : 0
সঠিক সিদ্ধান্ত। ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Sadiq Ullah ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১০ এএম says : 0
যথার্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঠিক সময়উপযোগী বিশ্লেষণ।
Total Reply(0)
Sadiq Ullah ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১০ এএম says : 0
Theguardian কে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
Total Reply(0)
Md Ali Azgor ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই মুহূর্তে উচিত হবে । জাতিসংঘের মহা সচিব সাহেবের উপর নির্ভর শীতলতার মাধ্যমে একটা শান্তিময় পরিবেশ তৈরি করে উভয়ের সম্মতিক্রমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব তাই তাঁর সততা মনোভাব পোষণ করছি, এবং সেই সাথে আশা করি তাঁর হস্তক্ষেপই হতে পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি অন্যতম ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে দেখতে চাই শান্তি প্রতিষ্ঠা। এসময়েই জরুরি ভিত্তিতে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বিরতির কার্য্যক্রম ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করা। পশ্চিমাদের উষ্কানিতে তিনি সমঝোতা করতে পারছেন না এটা ঠিক, তিনি নিজের এবং নিজের দেশের কর্তৃত্ব কে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে নিজেই নিজেকে সামলে নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব সাহেবের সঙ্গে সমঝোতা করাই ভালো হয়।
Total Reply(0)
Razu Ahmed ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
ইউক্রেন হল খেলার মাঠ আর দুই দল হল রাশিয়ার আমেরিকা
Total Reply(0)
Tarek Ahamed ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১২ এএম says : 0
George Zelonsky George you will broker America
Total Reply(0)
মোঃ আবু হাসান ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৮:০৯ এএম says : 0
গোপনে বা প্রকাশ্যে পশ্চিমাদের ইন্ধনেই আজ ইউক্রেনের কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
Total Reply(0)
Tajul Islam aziz ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১১:১৭ এএম says : 0
they don't want stop war as long as one single person alive in Ukraine so that they can fight continue against Rasia until they completely destroy, as well as ur/ Britain economy
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন