গ্রীষ্মের নজিরবিহীন দুঃসহ গরমের মধ্যেই পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট ট্রিপ করায় শুক্রবার রাত পৌনে ৯টা থেকে দু দফায় জাতীয় গ্রীড বিপর্যয়ে সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরলেও সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে সঞ্চালন, সরবারহ ও বিতরন ব্যাবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। ফলে তারাবী নামাজরত মুসুল্লী থেকে এ অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রোগীদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ঈদের বাজারেও চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। যদিও ওজোপাডিকো’র বরিশাল নিয়ন্ত্রন কক্ষে নুন্যতম সরবরহ শুরুর সাথে সাথেই শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে অকষ্মিকভাবেই পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। সাথে সাথে পায়রা-পটুয়াখালীÑবরিশাল গ্রীড ট্রান্সমিশন লাইন সহ এ অঞ্চলের বেশীরভাগ সঞ্চালন লইনগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। বরিশাল ২৩২/১৩২ কেভী ও ১৩২/৩৩ কেভী গ্রীড উপকেন্দ্র দুটি ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতিতে বিকল্প বাবস্থায় জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহের পাশাপাশি পায়রা’র অপর ইউনিট থেকে মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ গ্রীড সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে স্টেশন লোড চালু করতে সক্ষম হয়। ২০ মিনিটের মাথায় বরিশাল,পটুয়াখালী ও ভান্ডারিয়া ১৩২/৩৩ কেভী গ্রীড সাব-স্টেশন থেকে দক্ষিনাঞ্চলে ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকে চাহিদার ২০ভাগ বিদ্যুৎ সরবারহ শুরু করা হলেও অতিরিক্ত লোডের চাপে ১০ মিনিটের মাথায় বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশন পুনরায় ট্রিপ করে।
তবে ১৫ মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গ্রীড থেকে সরবরহ ও বিতরন ব্যবস্থা পূণর্বশন করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে। ইতোমধ্যে বরিশালের সামিট পাওয়ার, পটুয়াখালীর ইউনাইটেড পাওয়ার ও ভেলার ২২৫ মেগাওয়াটের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হতে শুরু করেছে। ফলে সঞ্চালন ও সরবারহ সহ বিতরন ব্যবস্থা খুব দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে বরিশালে পিজিসিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন