পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটি সোমবার রাতের প্রথম প্রহরে ট্রিপ করার পরে পশ্চিম জোনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ঝুকি সৃষ্টির মধ্যে সকাল ৯.৩৬টায় ভেড়ামাড়া-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী ও বাগেরহাট-বরিশাল ১৩২ কেভী গ্রীড লাইনসমুহ একযোগে ট্রিপ করায় ১১টি জেলা বিদ্যুৎ শূণ্য হয়ে পরে। ফলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়লেও গ্রীড সাব-স্টেশনগুলোতে ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতিতে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ শুরু করে পিজিসিবি’র প্রকৌশলী ও কর্মীগন। সকাল ৯.৪৮টায় গ্রীড সাব-স্টেশনগুলো চালু করে ৩৩কেভী সাব-স্টেশন সমুহে শুধুমাত্র ‘স্টেশন লোড’ চালু করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বরিশাল প্রায় ৮০ মেগাওয়াট চাহিদার স্থলে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ করা হয়। ফলে মহানগরীর বেশীরভাগ এলাকা সহ বরিশাল ও ঝালকাঠীর প্রায় সব এলাকাই কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ শূণ্য ছিল।
ভোলার ২২৫ মেগায়াটের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও বরিশারেল সামিট পাওয়ার চালু করা সহ জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সরবারহ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা চালু করতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বরিশাল গ্রীড সাব-স্টেশন থেকে ৮০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে মহানগরীর ৩৩ কেভী সাব-স্টেশনগুলোতে মাত্র ২৫ মেগাওয়াটের মত বিদ্যুৎ সরবারহ করা হচ্ছিল।
বিদ্যুতের অভাবে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সহ শ্রাবনের দুঃসহ গরমে বিভিন্ন অফিস আদালত ও বসত বাড়ীতে মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন