ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে ভ্রমনপ্রেমী দর্শনার্থীরা। ঈদের ছুটিতে নারায়ণগঞ্জের বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও, ফতুল্লার পঞ্চবটি, ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শণার্থীর ঢল নামে।
ঈদের দিন থেকে শুরু করে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র ছিল বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর পদচারনায় মুখর।
ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রকেই সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ইকোপার্ক, ফতুল্লার পঞ্চবটির এ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড পার্ক, সোনারগাঁয়ের বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন(যাদুঘর), বাংলার তাজমহল, ঐতিহাসিক পানাম নগরী, রূপগঞ্জের জিন্দাপার্ক, রাসেল পার্ক ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঈদের দিন থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় ছিল বেশি। ঈদের দিন থেকেই সোনারগাঁয়ের যাদুঘরটি পর্যটকদের জন্য খোলা রাখা হয়েছে। এখানে রয়েছে জাদুঘর, লেক ও নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। এদিকে সোনারগাঁ জাদুঘর ও বাংলার তাজমহল ছাড়াও সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার, বারদী জ্যোতি বসুর বাড়ি, মেঘনা নদীর বৈদ্যোর বাজার ঘাট ও কাইকারটেক ব্রীজে বিপুল সংখ্যাক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে।
এদিকে অনেকেই শীতলক্ষ্যা পাড়ের ইকোপার্র্কে এসে নদীর সৌন্দের্যের পাশাপাশি শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরণীরা মেরিগোল্ড, ম্যাজিক বোর্ট, বাম্পার কার, হানি সুইং, ওয়ান্ডার হুইল, রোলার কোষ্টার ও ফ্লাইং রকেট নানা রাইটসে চড়ে ঈদের আনন্দ উপযোগ করতে দেখা গেছে।
ঈদের ছুটিতে জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার জিন্দাপার্ক ও রাসেল পার্কেও ছিল দর্শনার্থীদের প্রচন্ড ভিড়। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন। জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রর সামনে বিপুল সংখ্যক দর্শনাথীৃর চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এ যানজট নিরসনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে রীতি মতো হিমশিম খেতে হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন