মহামারি করোনা ভাইরাসের আগে থেকেই দেশের চলচ্চিত্রের দুরবস্থা চলছে। প্রায় স্থবির অবস্থা বিরাজ করে। এর মধ্যে করোনা এসে পুরোপুরি স্থবির করে দেয়। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঈদকে টার্গেট করে বেশ কিছু সিনেমা নির্মিত হয়। এর মধ্যে মুক্তি পেয়েছে এস এ হক অলিকের গলুই, শাহীন সুমনের বিদ্রোহী, এম. রাহিমের শান এবং বড্ড ভালোবাসি নামে চারটি সিনেমা। ইতোমধ্যে দেশের ১৬৩টি সিনেমা হলে এগুলো চলছে। এর মধ্যে ঈদ উপলক্ষে নতুন করে খুলেছে ৯৩টি সিনেমা হল। চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে সিনেমা অঙ্গণের লোকজন আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। সিনেমাগুলো দেখার জন্য দর্শক হলে যাচ্ছেন। প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সিনেমাগুলোর প্রতিদিনের গড় সেল ৮০ হাজার থেকে এক লাখ। এটি সিনেমার জন্য একটি ভাল লক্ষণ। মন্দাবস্থার মধ্যে এ সেল সিনেমাকে চাঙ্গা করতে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, আমরা চাই একের পর এক ভালো সিনেমা নির্মিত হোক। তাহলে দর্শক সংখ্যাও দিন দিন বাড়বে, সিনেমা হলও খুলবে। এখন প্রযোজকদের ঈদের সিনেমার এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সিনেমা নির্মাণে এগিয়ে আসা উচিৎ। বিশেষ করে ঈদের সিনেমার সেল দেখে তাদের উজ্জীবিত হওয়া দরকার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিনই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর কোনো না কোনো শো হাউসফুল হচ্ছে। এটা সিনেমার জন্য সুখবর। কারণ দর্শক হলমুখী হচ্ছে। দেখার মতো হলে দর্শক যে, এখনো হলে গিয়ে সিনেমা দেখে, তা সিনেমাগুলো প্রমাণ করছে। অনেকের ধারণা ছিল, সিনেমা যেমনই হোক দর্শক আর হলমুখী হবে না। তবে এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ঈদের সিনেমাগুলো দেখার জন্য দর্শক হলে যাচ্ছে। প্রমাণ করেছে, সে ধারণা সঠিক নয়। ঈদের সিনেমা দিয়ে জমজমাট সিনেমাপাড়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন