ভোজ্য তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য প্রত্যাহার, দ্রব্যমূল্য এবং জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে তামাশা বন্ধ, সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের শাস্তি এবং খাদ্য পণ্যের রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আজ সোমবার (৯ মে) সোমবার বিকাল ৬টায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মনজুর আহমদ, শফিকুল ইসলাম কাজল, সুরুজ আলী, শাহিন আহমেদ, মনোয়ার হোসেন, জামাল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোজ্য তেলের দাম এক লাফে লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়িয়ে সরকার প্রমাণ করেছে এই সরকার মজুতদার ও বাজার সিন্ডিকেটের সহযোগী ও রক্ষক। ক্ষমতায় যেতে জনগণের ভোট প্রয়োজন হয়নি বলে সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই ঈদের আগেই ইঙ্গিত দেয় যে, ঈদের পরে তেলের দাম বাড়ানো হবে। সরকারের এই ইঙ্গিত ব্যবসায়ী মজুতদারদের তেল মজুত করে বাজারে সংকট তৈরি করতে উৎসাহীত করেছে। সরকারের কাছে হিসাব আছে দেশে তেলে চাহিদা কত এবং কত টন আমদানি হয়েছে। তাহলে বাজারে তেলের সংকট হলো কীভাবে? আর ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেই তেলে দাম এক লাফে লিটার প্রতি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রাতারাতি তেল ব্যবসায়ীদের পকেটে কয়েক শত কোটি টাকা ঢুকানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। করোনায় সাধারণ মানুষ কর্ম হারিয়েছে, আয় কমেছে, অথচ সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের আয় বাড়ানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি বরং মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে দেখা দিয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে ভোজ্য তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার এবং খাদ্য পণ্যের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীদের দালাল হিসাবে ভূমিকা পালনকারী সরকার জনগণকে ভয় পায় বলে ইভিএম এর নামে ডিজিটাল ভোট জালিয়াতির উদ্যোগ নিচ্ছে। বক্তারা গণবিরোধী এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন