শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

থাকবে ম্যাজিক

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কৌশল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২২, ১২:৩৫ এএম

বিএনপির রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে বাধা না দেয়া, মহাজোটের আকার বাড়ানো, ছোট দলগুলোকে সরকারের পক্ষে রাখা, বিভিন্ন এনজিও, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রেখে প্রভাবশালী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক এবং রাষ্ট্রদূতদের নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হবে। দলের অনুগত সুশীলদের কাজে লাগানো, বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুরনো মামলাগুলো সচলের কৌশল থাকবে।
ইয়াছিন রানা
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ক্যারিশমার কাছে বিএনপিসহ দেশের অন্যসব রাজনৈতিক দলের কৌশল মøান। সময়ের সিদ্ধান্ত সময়ে গ্রহণে দলটির জুরি নেই। রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৪ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্যেই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে দলটি ৫ বছর নির্বিঘেœ ক্ষমতায় থেকেছে। ২০১৮ সালে সংলাপের মাধ্যমে বিএনপিকে ম্যানেজ করে নির্বাচনে এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আগে বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন শেষ পর্যায়ে ভোটের আগে এমন ম্যাজিক দেখানো হবে তাকে বিএনপি নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি এখনো শিশু। দলটির নেতারা বলছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যাবে যে বিএনপি নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে ভোটে আসতে বাধ্য হবে। তবে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণে ‘নির্বাচন কঠিন হতে পারে’ এমন ভাবনা থেকে নির্বাচনে প্রায় শতাধিক আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দেবে বলে জানা গেছে।

টানা তিন টার্ম ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন আগামী দ্বাদশ নির্বাচন বিগত নির্বাচনের চাইতে ভিন্ন রকমের এবং কঠিন হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো বিএনপিকে সহজেই বোকা বানানো যাবে না। দেশি-বিদেশি দৃষ্টি ভোটের দিকে থাকবে ফলে নির্বাচন কঠিন হবে। তাই দলকে সংগঠিত করে, দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক রেখে আগামী নির্বাচনে জয়লাভের ছঁক কষছেন। বর্তমানে মাঠের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসবে না। কিন্তু বিএনপিকে যেভাবেই হোক নির্বাচনে আনতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই গত নির্বাচনের মতো শেষ সময়ে ‘সংলাপ’র মতো নতুন কোনো ম্যাজিক দেখাবে ক্ষমতাসীনরা; যেন সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে নানামুখি কর্মকৌশল নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, যেকোনো কৌশলে হোক বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার টার্গেট আওয়ামী লীগের। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি-না তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বড় ইস্যু। গত নির্বাচনের শেষ সময়ে গণভবনে ‘সংলাপ’ আয়োজনের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছিল। এবারও নতুন কোনো কৌশলে বিএনপিকে নির্বাচনমুখি করা হবে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিএনপিকে রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে বাধা না দেয়া, মহাজোটের আকার বাড়ানো, ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের পক্ষে রাখা, বিভিন্ন এনজিও, নির্বাচনী সংস্থা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রাখা, বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রাখা, নিয়মিত রাষ্ট্রদূতদের কাউন্সিলিং করা।

এদিকে বিএনপিকে মাঠপর্যায়ে কর্মসূচি পালন করতে দিলে যেকোনো উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরনো মামলাগুলো সচল করা হবে, মামলার চার্জ গঠন, দ্রæত হাজিরা রাখা, জামিন বাতিল করার হাতিয়ার থাকবে সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মুখে যাই বলুক, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে কোনো ফন্দি ফিকির করে না, এ অভ্যাস বিএনপির আছে। আমরা আগামী নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করা দরকার তা করব।

মহাজোটের আকার বাড়ানো : আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মহাজোটের আকার বাড়বে। ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার। নির্বাচনের আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান ঠিক রাখতে দেন-দরবার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা সেল এবং গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে যেন নির্বাচনের আগ থেকে তারা সরকারের পক্ষে ভ‚মিকা রাখে।

জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই : আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়নে এখন থেকেই জনপ্রিয়তার জরিপ করছে আওয়ামী লীগ। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশে এ জরিপ করা হচ্ছে। সম্প্রতি এমন এক জরিপে ৮৪ জন সংসদ সদস্য অজনপ্রিয় এবং ইমেজ সঙ্কটে ভ‚গছেন বলে উঠে এসেছে। এছাড়া যারা এমপি প্রার্থী রয়েছেন তাদের মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় হতে বলা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়ানো : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাব বিস্তার করে এমন দেশগুলার সাথে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের সময় তাদের ভ‚মিকা বা অবস্থান যেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে না যায় সেজন্য নিয়মিত তাদের ব্রিফিং করা হবে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটি এ বিষয়ে ভ‚মিকা পালন করবে।

নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ : নির্বাচনের আগে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট যেসব বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রেস ব্রিফিং, সভা, সেমিনার করে থাকে তারা যেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা না বলে এবং সরকারের পক্ষে কথা বলে সেজন্য তাদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি : নির্বাচনে বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করে থাকে। এসব দেশীয় ও বিদেশি সংগঠনগুলোর সাথে সরকার যোগাযোগ বাড়িয়েছে।
গুজব প্রতিরোধ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো বন্ধে এবং গুজব প্রতিরোধে কাজ করবে সরকারের আইসিটি মন্ত্রণালয় এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি। এ বিষয়ে দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর জানিয়েছেন, বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে এক লাখ কর্মী তৈরি করা হয়েছে গুজব প্রতিরোধ এবং সরকারের উন্নয়ন প্রচারের জন্য।

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ : নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীরা যেন দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে সেজন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যেন নির্বাচনের সময় বিএনপির নেতাদের অর্থ সরবরাহ না করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জানতে চাইলে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দলকে সুসংগঠিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন, দ্রæত পূর্ণাঙ্গ কমিমিট গঠন, কোন্দল দূর করার জন্য কাজ করছি আমরা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা। সব দল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং জনগণ সুন্দরভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাই সকল ধরণের পদক্ষেপই নেয়া হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যা করার দরকার তাই করবে আওয়ামী লীগ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
নাসির ১৩ মে, ২০২২, ১:৩০ এএম says : 0
আ.লীগ চাইবে ছলেবলে যে কোনো ভাবে ক্ষমতায় থাকা। বিএনপির নেতারা যদি এক থাকে তাহলে এবার তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তবে, বিএনপি নেতাদের মাঝে কিছু নেতা আছে দুমুখী। তারা আ.লীগের সাথে আতাত করে
Total Reply(0)
হাসান ১৩ মে, ২০২২, ১:৫৩ এএম says : 0
এ নির্বাচন হবে দেশের জন্য অনেক গুরুত্পূর্ণ। ফলে দুই বড় দলই চাইবে যে কোনো ভাবে তারা ক্ষমতায় আসা। এ নিয়ে বিশ্ব নেতারা এখন অনেক সচেতন। কারণ তারা অনেকবার বলেছে, এবার যাতে এ দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়।
Total Reply(0)
নাসির ১৩ মে, ২০২২, ১:২৭ এএম says : 0
আমি মনে করি এবার আগের মতো তারা রাতের আঁধারে নির্বাচন করতে পারবে না। কারণ এখন বিশ্ব এ দেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক চাপ আছে
Total Reply(0)
বিজয় ১৩ মে, ২০২২, ১:৩২ এএম says : 0
আ.লীগের ওপর এবার বিশ্ব থেকে অনেক চাপ আছে, এবার যদি বিএনপি এক না থাকে তাহলে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এমনকি তাদের দলে ভাঙনও দেখা দিতে পারে। তবে, তারা এক থাকলে এবার বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে
Total Reply(0)
বিজয় ১৩ মে, ২০২২, ১:৩৩ এএম says : 0
এখন বিএনপির উচিত হবে সব দলকে কাছে টানা ও তাদেরকে এক রাখা
Total Reply(0)
আমজাদ ১৩ মে, ২০২২, ১:৩৫ এএম says : 0
বিএনপির নীতি-নির্ধারক ঠিক থাকলে তাহলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে।
Total Reply(0)
আমজাদ ১৩ মে, ২০২২, ১:৩৬ এএম says : 0
যেকোনো কৌশলে হোক বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার টার্গেট আওয়ামী লীগের। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি-না তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বড় ইস্যু। গত নির্বাচনের শেষ সময়ে গণভবনে ‘সংলাপ’ আয়োজনের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছিল। এবারও নতুন কোনো কৌশলে বিএনপিকে নির্বাচনমুখি করা হবে। তবে, এ কৌশল বিএনপি কাজে লাগাতে পারলে তারা জয়ী হবে। আর আ.লীগ কাজে লাগাতে পারলে তারা জয়ী হবে
Total Reply(0)
আহমদ ১৩ মে, ২০২২, ১:৪০ এএম says : 0
আ.লীগ যদি বেশিরভাগ দলকে তাদের জোটে আনতে পারে তাহলে তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে থাকবে।
Total Reply(0)
আহমদ ১৩ মে, ২০২২, ১:৪২ এএম says : 0
আগামী দ্বাদশ নির্বাচন বিগত নির্বাচনের চাইতে ভিন্ন রকমের এবং কঠিন হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো বিএনপিকে সহজেই বোকা বানানো যাবে না। দেশি-বিদেশি দৃষ্টি ভোটের দিকে থাকবে ফলে নির্বাচন কঠিন হবে। ফলে এবারের নির্বাচন দেশে অনেক কঠিন হবে।
Total Reply(0)
আহমদ ১৩ মে, ২০২২, ১:৩৮ এএম says : 0
আ.লীগ দেশে এবার অনেক উন্নয়ন করেছে। তাদের বড় একটি ভুল হলো- তারা দেশে দ্রব্যমূল্যের অনেক দাম বাড়াইছে। যার কারণে জনগণ তাদের প্রতি অনেক নাখোশ
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৩ মে, ২০২২, ২:২৮ এএম says : 0
উপযুক্ত তথ্য নির্ভরশীল মন্তব্য প্রতিবেদন হওয়া প্রযোজন। আমার ক্ষুদ্র মতামতে। আওয়ামীলীগে কাছে আছে বিরাট আন্তর্জাতিক মানের সম্পদ। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের মাঝেই একজন। দক্ষিণ এশিয়াই বিশাল ব‍্যাক্তিত্বের মর্যাদাবান নেতা। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ক‍্যরেশম‍্যাটিক নেতৃত্ব। ভীশনারী লিডারশিপে সুদূরপ্রসারী মহাপরিকল্পনা এই দেশকে নিয়ে ডেল্টা প্লান শত বসরের। আগামী ৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সম্মান মর্যাদার সবকটি সুচকে এগিয়ে। এডিবি বিশ্ব ব‍্যাংক আইএমএফ দাতা সংস্থা গুলো রিপোর্ট সন্তোষজনক। বিশালাকার কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ‍্যুৎ রুপপুর পরমানু প্লান। আকাশ বিজয় একলক্ষ বিশ হাজার বর্গকিলোটার সাগর বিজয়ী। ব্ল্ইকোনিমি প্রতিষ্টার মাধ্যমে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। বিশালাকার মেগাস্টার প্রকল্প। একশতটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশের রপ্তানি বানিজ‍্যের সম্প্রচারন। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শক্তিশালী অবস্থানে বিশালাকার নিরাপধ রিজার্ভের অবস্থান। মহামারী কঠিন সময়ে ভয়ংকর মৃত্যু ভয়ানক করোনার সময় বিশ্ব অর্থনীতির বিপদর্জয়ের কঠিন সময়ে মাতৃত্বের স্নেহ বাংলাদেশের আটার কোটি মানুষের জন্যে। হাজার কোটি টাকার ফ্রি টিকার ব‍্যবস্থা বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী কে নগদ অর্থ খাদ‍্য প্রদান। বাংলাদেশের ব‍্যবসায়ী দের লক্ষকোটি টাকার প্রনোদনা। জাতীয় আন্তর্জাতিক ভাবেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রশংসনীয় হয়েছ।এই অমূল্য সম্পদের নাম। মর্যাদাবান নাম। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাহার বিশাল ব‍্যাক্তিত্বে কর্মকাণ্ডে পরিশ্রমে দক্ষিণ এশিয়াই তাহার মতোই একজন আছেন???। বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর বুকে এই মুহুর্তে আর্তমর্যাদাশীল সম্মানীত জাতি একমাত্র অবদান কার? ঐক্যবদ্ধ জাতি হয়ে দলমত নির্বিশেষে অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার জন্যে। আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর বিকল্প বাংলাদেশে আছে? অগ্রযাত্রাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পযর্ন্ত বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার নবদিগন্তের এই সোনার বাংলাদেশের দিনরাত শ্রমের বাংলাদেশের। জীবন মৃত্যুর বাংলাদেশের। তুলে ধরাই আওয়ামীলীগএকমাত্র ভীষন হওয়া জরুরী। আমেরিকা চীন ভারত রাশিয়া যতদিন বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার হাতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব যতদিন থাকবে ততদিন """' আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক খেলা চলবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে দক্ষ নেতা।ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাশ্ববর্তী সহ প্রতিযোগিতার বিশ্বে গভীর ষড়যন্ত্র মধ্যে আছে। বাংলাদেশ কে বিশালাকার অর্থনৈতিক পরাশক্তি করার মহা পরিকল্পনার শক্ররা ইর্ষান্বিত হয়ে পারলে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চাইবে। ইউটিউবের প্রচারণায় রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান সহ সকল প্রধানের বিরুদ্ধে ফ্রি ষ্টাইলে কি পরিমাণ কাল্পনিক অপপ্রচার হচ্ছে। ভয়ংকর নোংরামি মন্তব্য পৃথিবীর কোন জাতির বিরুদ্ধে হয়েছিল কিনা জানিনা। এই অপপ্রচার বিরুদ্ধে দেশের লক্ষ কোটি মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী বিচার দিতে পারেন। শিরোনাম থাকবে ম‍্যাজিক আওয়ামীলীগের কৌশলী ইত্যাদি। যথার্থ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির পায়রা উড়িয়ে এইরক্তাক্ত জনপদের শান্তি প্রতিষ্টা করেছেন। হাজারো মানুষের জীবন বাচিয়েছেন। রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত আগুনের লেলিহান শিখা রোহিঙ্গাদের উপর বার্মার সামরিক জান্তার ভয়ানক গপহত‍্যা। দশলক্ষ অসহায়ত্ত্বের আশ্রয়হীন মানুষের বাংলাদেশে স্থান দেওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাচিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ব মানবতার মা হিসাবে মর্যাদাবান পুরুস্কার পাওয়া অথচ বিশালাকার মানবতার জন্যে মাতৃত্বের জন্যে শতভাগ নিশ্চিতরূপে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল প্রাইজের অধিকারী। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নোবেলজয়ী হতে পারেননি। এই রকম নেতা নেতৃত্ব শতাব্দীর পর শতাব্দী অপেক্ষা করে পাওয়া যাবেনা। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার হাতেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার সকল উপাদান বিদ্ধমান। দেশের সকলস্তরের মানুষের বুদ্ধিজীবীদের শিক্ষকদের ছাত্রসমাজে যুব সমাজের সাধারন মানুষের উচিৎ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কি আবার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দাতাদের কাছে যাবে? না প্রতিযোগিতামূলক বিজ্ঞানও প্রযুক্তি শক্তিশালী অর্থনৈতিক বাংলাদেশের পাশে থাকবে? আগামী জাতির নির্বাচনে। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার শক্তিশালী বাংলাদেশের পক্ষেই লক্ষ কোটি মানুষের ঐক্যবদ্ধ জনতার ঢেউ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামীলীগের জাতীয় নেতৃত্বর প্রযোজন সমগ্র দেশের জন গন কে সাথে নিয়ে কর্মসূচি মাধ্যমে প্রচারণার এখনই সময়। চলবে।
Total Reply(0)
Yousman Ali ১৩ মে, ২০২২, ৯:৪০ এএম says : 0
নিরপক্ষ নিরবাচন দিলেই কাম শেষ আওয়ামী লিগের বাজবে বিদায়ী ঘন্টা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন