একমাস রোজা পালনের পর মুসলিম বিশ্বে পালিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামী শরীয়তে এ ঈদ নানা ইবাদতের সামষ্টিক রূপ হিসেবে বিবেচিত। এদিনের প্রত্যুষে মুসলিমগণ ঘুম থেকে জাগ্রত হয়। অতঃপর তারা মেসওয়াক করে, ওযু করে ও ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। তারপর তারা গোসল সেরে সামান্য মিষ্টি মুখ করে। এ মিষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে রোজাদারগণ বাৎসরিক রোজা ভঙ্গ করে। অতঃপর তারা সাধ্যমত নতুন ও পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে। আতর-গোলাপ ও সুরমা মেখে ঈদগাহে যায়। রোজাদার মুসলিমগণ তাকবীর পাঠ করে। এক পথ দিয়ে ঈদগাহে গমন করে, অপর পথ দিয়ে ফিরে আসে। সূর্যোদয়ের পর থেকে দ্বিপ্রহরের পূর্ব সময়ের মধ্যে তারা দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করে। মুসলিম সমাজের জন্য এ ঈদ হচ্ছে জাতীয় বাৎসরিক সম্মেলন। এ সম্মেলন মুসলিমদের জন্য জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এটি এমন একটি সম্মেলন যেখানে কোনো প্রকার শ্রেণী বৈষম্য থাকে না। সাময়িকক্ষণের জন্য এ সম্মেলন মুসলিম জাতিসত্তার এক অপূর্ব সমাবেশে রূপান্তরিত হয়। এখানে উপস্থিত হয় দেশের শ্রেষ্ঠ ও বরেণ্য রাজনীতিক, আমলা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, চাকরিজীবী, বিত্তশালী ও শিল্পপতিগণ। পাশাপাশি উপস্থিত হয় কামার, কুমোর, তাঁতি, জেলে, চাষি ও শ্রমজীবীগণ। উপস্থিত হয় ছোটো-বড়ো, ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত-সব ধরনের মানুষ। সবার আগমনে ঈদ সৃষ্টি করে সামাজিক অভিন্নতা। দিনটি পরস্পরের মাঝে অকৃত্রিম সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি তৈরি করে। ধনীর অট্টালিকা হতে গরিবের খড়ের ঘর-সবখানেই সম্প্রীতির এ আবহ ছড়িয়ে পড়ে। আর এ কারণেই শিশু থেকে বৃদ্ধ সব ধরনের মানুষ ঈদের এ সম্মেলনে যোগ দিয়ে থাকে। বিগত দিনের দুঃখ, বেদনা ও যাতনা একদিনের জন্য হলেও তারা ভুলে যায়। মূলত ঈদ হচ্ছে সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ী এক সম্মেলন। ঈদ মুসলমানদের সার্বজনীন এক আন্তর্জাতিক উৎসব। সকল মুসলিম দেশে, সকল পেশার মানুষের এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট শ্রেণি, পেশা কিংবা রাজা-বাদশার জন্য এটি নির্ধারিত কোনো সম্মেলন নয়। এ সম্মেলনে বিশেষ কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠীর আধিপত্য থাকে না। সব দেশের সব মুসলিমগণ স্বাধীনভাবে সম্মেলনে যোগদান করে থাকে। সম্মেলনে উচ্চারিত হয় আল্লাহু আকবার ধ্বনি। এ ধ্বনিতে এদিন মুখরিত হয় গোটা মুসলিম বিশ্বের আকাশ বাতাস। এ সম্মেলন বন্ধুত্বের বন্ধনকে নবায়ন ঘটায়। এদিনে বাল্য ও পুরাতন অনেক বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ ঘটে। নতুন আবেগে পুরাতন বন্ধুত্বের নবায়ন হয়। এর ফলে সামাজিক বন্ধুত্বেরও উন্মেষ ঘটে। ফলে সামাজিক বন্ধন আরো মজবুত ও অটুট হয়। এদিনে পরিচয় ঘটে নবীনের সাথে প্রবীণের। এ সম্মেলনের অনন্য বৈশিষ্ট্য তাই সকলের উপস্থিতি। এখানে বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও ব্যাপক উপস্থিত হয়ে থাকে। দাদা-বাবা, চাচা-মামা, খালু-ফুফা, শালা-দুলাভাই, নতুন ও পুরাতন জামাইসহ সকলেই এ সম্মেলনে শরীক হয়ে থাকে। ছোটরা বড়দের হাত ধরে এ সম্মেলনে যোগদান করে থাকে। এতে সম্মেলনের সৌন্দর্য বহু গুণ বেড়ে যায়। শিশুদের রং-বেরঙের পোশাক এবং খেলনা এ সম্মেলনের আনন্দে বৈচিত্র্য দেখা দেয়। ফলে সামাজিক বন্ধনে বহুমাত্রিক রূপায়ন ঘটে। এর ফলে মুসলিম সমাজে পারস্পরিক বন্ধনের ব্যাপ্তি ঘটে এবং এ বন্ধন আরো সুদৃঢ় হয়।
এ সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হলো খুৎবা তথা ইমাম সাহেবের ভাষণ। মুসলিম জাতির করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয় নিয়ে নির্বাচিত থাকে এ ভাষণটি। ভাষণের মূল প্রতিপাদ্য থাকে মুসলিমদের ইহ-পরকালীন বিষয়ক গাইডলাইন বা দিক নির্দেশনা। এ ভাষণে উল্লেখ থাকে মুসলিম জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণা ও আবিষ্কারবিষয়ক তথ্যাদি। ধর্মীয় আবেগ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানব প্রেমের উল্লেখ থাকে উক্ত ভাষণে। মানবিক মর্যাদা ও গুণাবলী, সামাজিক শিষ্টাচার ও মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এ ভাষণে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি, রাজনৈতিক সহনশীলতা, সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়ের নির্দেশনা প্রদান থাকে এ ভাষণের উদ্দেশ্য। এক কথায় বলতে গেলে, জাতীয় চেতনা জাগরণের এক মূল্যবান উপাদান হলো এ ভাষণের মূল প্রতিপাদ্য। যদিও আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে এই খুৎবার বিষয় থাকে শুধু নামাজ, রোজা ও নফল সম্পর্কিত কিছু মাসআলা মাসায়েল। নামাজ আদায়ের আগে বিত্তশালীরা এদিনে গরিবদেরকে ফেতরা প্রদান করে। সকাল থেকেই এদিনে ছেলে-বুড়ো-সকলে মিলে নির্মল-স্বচ্ছ আনন্দ-ফুর্তি উদযাপন করে। এদিনে প্রতিটি রোজাদারের ঘরে সাধ্যমত ভালো খাবার রান্না হয়। আর এসবই ইসলামের বহুমাত্রিক ইবাদতের অনুষঙ্গ। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন দর্শনের নাম। এ দর্শনের সকল ক্ষেত্রে রয়েছে ব্যক্তি উন্নয়ন; ব্যক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতার উন্নতি সাধন। রয়েছে নানা সামাজিকতা এবং সামাজিক উন্নয়ন। সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পথকে সুগম করা এ দর্শনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আর রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমর্যাদাকে উজ্জ্বল করা হলো এ দর্শনের সর্ববৃহৎ সীমানা, যাকে এ দর্শনের পরিভাষায় আন্তর্জাতিকতাবাদ বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ঈদের এ বহুমাত্রিক দিককে আমরা একবারেই খণ্ডিত করে ফেলেছি। এটিকে আমরা অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে সীমিত করে নিয়েছি। ঈদের উল্লেখিত বহুমাত্রিক চেতনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে আমরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। এটিকে আমরা এখন শুধুমাত্র প্রচলিত একটি দেশীয় ও জাগতিক আনন্দ উৎসবে রূপান্তর করে ফেলেছি। বাঙালি সমাজে ঈদ সম্মেলনটি উল্লেখিত ভাবাবেগের বিপরীতে স্রেফ একটি আনন্দ-বিনোদনে রূপ নিয়েছে। আবার কেউবা এটাকে শুধুমাত্র প্রচলিত ধর্মীয় আবেগের উপাদান হিসেবে রূপায়ন করেছে। আর এক্ষেত্রে তারা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ও আধ্যাত্মিকতার মতো অপূর্ণাঙ্গ খণ্ডিত উৎসব হিসেবে উপস্থাপন করে চলেছেন। নিঃসন্দেহে এ খণ্ডিতকরণ পূর্ণাঙ্গ মুসলিমের কাছে কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ঈদ সম্মেলনের মলিনতার সবচেয়ে দুঃখজনক চিত্র হলো ঈদের দিনে ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি। এদিনে আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি দুঃখ-বেদনার দৃশ্যও কম নয়। আনন্দ আয়োজনের বিপরীতে এদিনে দেখা যায় করুণ হাহাকার ও আর্তনাদ। অসহায় ও দারিদ্র্যপীড়িতদের অনেকে ঈদগাহে যায় ভিক্ষা করতে। আনন্দ উদযাপন করতে নয়, বরং ঈদগাহে তারা যায় দু’মুঠো ভাতের আশায়; দুটো টাকার আশায়। ঈদগাহে তাদের আগমন ঘটে যঠোর জ্বালা মেটাতে। আর্তপীড়িত জনতা এদিনে বিত্তশালীদের কাছে ভিক্ষার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা মানুষের কাছে করুণা ভিক্ষা চায়। বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ হাজার গ্রাম রয়েছে; রয়েছে ৬৮ হাজারের মতো ঈদগাহ। প্রায় সব ঈদগাহতেই ভিক্ষাবৃত্তির এ দৃশ্যটি পরিলক্ষিত হয়। ভিক্ষাবৃত্তির এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়। তবে ঈদের দিনে ভিক্ষাবৃত্তির এ দৃশ্য প্রতিটি মানবিক মনকে ব্যথিত করে তোলে। তাদের আনন্দকে ম্লান করে দেয় হাত পাতার এ দৃশ্য। এ ভিক্ষাবৃত্তি ঈদ সম্মেলনের আনন্দ-ঐতিহ্যের বিপরীতধর্মী একটি কাজ। এটি ইসলামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সাংঘার্ষিক একটি ব্যাপার। এটি ঈদ আনন্দের সাথে কোনোভাবেই সমানভাবে পাশাপাশি চলতে পারে না। এটা বন্ধ করতে কারো যেনো কোনো মাথা ব্যথা নাই! আমরা উন্নত রাষ্ট্র গড়তে চাই। অথচ চারিদিকে ভিখারীরদের অনাগোনা! শহরের স্টেশনগুলোতে একদিকে টোকাই নামের বালক-বালিকাদের ভিক্ষাবৃত্তি। অন্যদিকে অভিজাত আবাসিক এলাকার অলি-গলি ও বাসাবাড়িতে ভিখারীর হানা। কী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কী আন্তর্জাতিক স্টেশন, কী সোনারগাঁও হোটেল। সব এলাকার প্রবেশ গলিতে নানান জাতের ফকিরের আনাগোনা! অনেক সময় তাদের অন্যায় আবদারের শিকারে পরিণত হয় অনেক অভিজাত বিদেশি।
এই যখন অবস্থা, তখন ঈদ সম্মেলনের যথার্থতা অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। গোটা মুসলিম বিশ্বভ্রাতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে এ ভিক্ষাবৃত্তি। অথচ, ঈদের আনন্দ সার্বজনীন করার জন্য ইসলাম বিত্তশালীদের উপর ফিতরাকে ওয়াজিব করেছে। বিত্তশালীদের সম্পদে এসব অসহায় মানুষের অধিকার নির্ধারিত রয়েছে। সার্বজনীন আনন্দ উল্লাসের জন্য ঈদের দিন সকালে ফিতরা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলে যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ইসলাম সে জন্য এ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। আর তাদের এ অধিকার নিশ্চিত করতে ইসলাম রাষ্ট্র এবং সরকারকেই দায়িত্ব প্রদান করেছে। পাশাপাশি সমাজের ধনী ব্যক্তিদের উপর এ দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর ঈদের অর্থনীতিতে ফিতরা ও যাকাত থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। আর এ সব টাকা আদায় হয়েছে অসংগঠিত ও অস্বাভাবিক উপায়ে। আবার আদায়কৃত টাকা বণ্টিত হয়েছে অসংগঠিতভাবে। অর্থাৎ আদায়কৃত টাকাটা যথাযথ নিয়মে বণ্টিত হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদায়কৃত ৪০ হাজার কোটি টাকা সঠিক ও যথাযথ পন্থায় বণ্টন করলে এ ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা সম্ভব হতো। কারণ, বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৭১টি। উক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা উল্লেখিত ইউনিয়নের মধ্যে ভাগ করে দিলে প্রতিটি ইউনিয়ন পেতো প্রায় পৌনে ৯ কোটি টাকা। আর এ টাকা দিয়ে একটি ইউনিয়নকে পরিপূর্ণভাবে ভিক্ষুকমুক্ত করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, যথাযথ দেশপ্রেম ও সদিচ্ছা থাকলে সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ৪৫৭১টি ইউনিয়নকে উন্নত ও মডেল ইউনিয়নে পরিণত করা সম্ভব হতো।
অন্যদিকে বাংলাদেশে করদাতার সংখ্যা প্রায় ৪৭ লাখ। কিছু অমুসলিম বাদে এদের সকলের উপরই ফিতরা ও যাকাত ফরজ। বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীর সংখ্যা ১১ জন। সোয়া দুই কোটি টাকার মালিক আছে বাংলাদেশে এমন লোকের সংখ্যা ১৩০০০ জন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই ১৩০১১ জনের কাছ থেকে যাকাত আদায় করলে যাকাত আদায় হয় প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। এ টাকা উল্লেখিত ইউনিয়নের মধ্যে ভাগ করে দিলে প্রতিটি ইউনিয়ন ৪৪ কোটি টাকা করে পাবে। এটি দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক প্রাকটিক্যাল নির্দেশনা।
বাংলাদেশের প্রতি বছর ঈদ আসে ঈদ যায়। বিত্তশালীরা ব্যাপকভাবে ঈদ আয়োজন করে থাকে। ঈদের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে চাঙ্গা হয়। কিন্তু অবহেলিত থেকে যায় দেশের অসংখ্য গরিব মানুষ। এবার ঈদে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ গ্রামে গিয়েছে। পৈতৃক ভিটামাটিতে তারা স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এরমধ্যে সাড়ে তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। প্রায় এক কোটি মানুষ রয়েছে যারা শিক্ষিত বেকার। তাদের কাছে ঈদ আয়োজনটা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। পরিশেষে বলা যায়, প্রতি বছর ঈদ আসে আর যায়। ঈদের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। স্বল্প সংখ্যক বিত্তশালী লাভবান হয়। বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষ সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। ভাগ্যাহত মানুষের চিত্রটি বিত্তশালীদের চোখের আড়ালেই রয়ে যায়। ঈদের দিনেও ভিখারিদের হাত প্রলম্বিত হয়। ফলে ঈদের আনন্দটি অপূর্ণই রয়ে যায়।
লেখক: কলামিস্ট ও অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
Email: dr.knzaman@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন