মাদারীপুরে নিজ কার্যালয় থেকে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার নয়াচর এলাকায় অবস্থিত চরমুগরিয়া খাদ্যগুদামের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কামরুল ইসলাম (৪০)শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের খালাশিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খালাশীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরমুগরিয়া খাদ্যগুদাম কার্যালয়ের ভেতরে আজ সকালে বাথরুমের সামনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় অফিসের স্টাফরা। পরে পুলিশ গিয়ে সুরাতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরে প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে দেয় সদর উপজেলা প্রশাসন। তবে মৃত কামরুলের পারিবার সূত্রে জানা যায়, তার দুই স্ত্রী ছিল। এবং প্রত্যেকের মেয়ে সন্তান রয়েছে।
এব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, আত্মা হত্যা কেন করেছে সে বিষয় স্পষ্ট নয়। পারিবারিক কোন ঝামেলা কিংবা অফিস সংক্রান্ত কোন সমস্যার ছিল কিনা এসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন জানান ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না থাকার কারনে ৬টি গুদাম সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী কর্মকর্তা নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
মাদারীপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. ইসলাম হোসেন জানান অফিসে যোগদানের পর থেকেই মানসিকভাবে চিন্তাগ্রস্থ ছিলেন কামরুল। তার মৃত্যু কি কারনে হয়েছে জোড় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। পরে নানান পারিবারিক ঝামেলা ও অফিসের সমস্যার কারনে চিন্তিত থাকতেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন