হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা অনুসরণে, বিজেপি সরকার বিবাহ এবং উত্তরাধিকার আইন পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিচ্ছে, যাতে বিভিন্ন ধর্মীয় নিয়মের পরিবর্তে একটি অভিন্ন নাগরিকবিধি অনুসরণ করা হয়।–নেশন ডট কম
সে অনুযায়ী, এমন ধরনের মুসলিমবিরোধী বক্তব্য কিছু রাজ্যে প্রচার করা হচ্ছে, যা নির্বাচনের আগে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলটির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের জন্য পরীক্ষার ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে। ইসলাম থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে সরে যেতে বাধ্য হয় এমন কিছু আইন যে ক্ষেত্রে তারা করতে চায়। ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা এবং কাশ্মীরে অবৈধ দখলের পাশাপাশি এটি অবশেষে মুসলমানদের অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
বিষয়টি আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লাইমলাইটে আনেন।যিনি অকপটে বলেন, তিনি যে সমস্ত মুসলিমদের সাথে দেখা করেছিলেন, তারা নাকি বহুবিবাহের অনুমতি দেয় এমন আইনের বিরুদ্ধে।এইভাবে তিনি একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি চাপিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন, যা সংখ্যাগরিষ্ঠের হিন্দুরীতি গুলিকে সমর্থন করা ব্যতীত কোনও ধর্মীয় সংস্থার কাছে অকার্যকর। যাতে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং উত্তরাধিকারের আইনি বিষয়গুলি আর মানুষের বিভিন্ন ধর্ম বিভিন্ন নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হবে না। যা এটিকে আরও ঝামেলাময় করে তোলে, তাহলো, এই নীতিটি শুধুমাত্র আসামের মতো নির্দিষ্ট এলাকায় প্রয়োগ করা হবে, যাতে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপি দলটি কতটা সমালোচনার শিকার হবে এবং তারা তা থেকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে কিনা জানতে পারবে।
এই ধরনের পদক্ষেপগুলো কেবলমাত্র ভারত সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট যৌথ মানসিকতার গোপন দুরভিসন্ধি, যা মুসলমানদেরকে প্রান্তিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এবং তাদের ভবিষ্যত নির্বাচনী পারফরম্যান্সের পরীক্ষা করার জন্য ধর্মস্বীকার করার এবং অনুশীলন করার অধিকার বিসর্জন দিতে হয়।
এপ্রিল মাসে দেশটিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে না। শুধু গণহত্যার ডাকই ছিল না, রামনবমীর উৎসবে জনতা পার্টি মুসলমান ও তাদের সম্পত্তির ওপর হামলা চালাতে বেরিয়েছিল। বিশ্ব বিজেপি সরকারের হাতে মুসলমানদের দুর্দশার বিষয়ে অন্ধ থাকতে পারে না এবং পাকিস্তানকে অবশ্যই কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে তার ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। এমন মনোভাব আর সহ্য করা যায় না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন