ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিয়াম সহ হলে হলে গেস্টরুম সংস্কৃতির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ সোমবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোঃ আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া সহ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়কবৃন্দ,আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বৃন্দ এবং বিভিন্ন হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন হলে হলে ছাত্রলীগের তথাকথিত গেস্টরুমে হওয়া নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
আক্তার বলেন, "দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন সফল হলে আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়, নীতি এবং সাম্যের বাংলাদেশ। তাই সকলেরই যথাযথ আচরণ করা উচিত। তা নাহলে ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।" এছাড়াও তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে মাফিয়া মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমান বলেন, “ ছাত্রলীগ বর্তমানে চর দখলের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে দখল করে রেখেছে। তাদের কর্মসূচীতে না গেলে বা তাদের বিরোধী মতের রাজনীতি করলেই নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে আর অপরদিকে এসব ঘটনায় বরাবরের মতই ঢাবি প্রশাসন নির্বিকার। ছাত্রলীগের চলমান কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন রাজনৈতিক চর্চার আদর্শের পরিপন্থী, তারা যদি এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করে অচিরেই তাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণ প্রতিরোধের মধ্যে পড়তে হবে।"
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন