শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন : রাজনীতির পালে হাওয়া

তারেক সালমান | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৪:২২ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। গত সোমবার এ তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নাগরিকরা আগামী ২২ ডিসেম্বর নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। নাসিকের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার পাশের ওই বন্দরনগরীটিতে। ভোটের হাওয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে একটু জোরেশোরে বইলেও এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মাঠের বিরোধীদল বিএনপি। তবে অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও অংশ নেয়ার পক্ষে বিএনপির চিন্তাভাবনা আছে বলে জানা গেছে। অবশ্য দলের কারও কারও এ ব্যাপারে দ্বিমতও আছে। আর নাসিক নির্বাচন ঘিরে বর্তমান বন্ধ্যা রাজনীতির পালে আবারও নতুন করে হাওয়া বইতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
নাসিকের বর্তমান মেয়র ক্ষমতাসীন দলেরই নেত্রী সেলিনা হায়াত আইভী ও তার প্রবল প্রতিপক্ষ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েই ধীরে ধীরে জমে উঠতে যাচ্ছে রাজনীতি। এর সঙ্গে নাটকীয়ভাবে বিগত নির্বাচনে হঠাৎ করেই মাঠ ছেড়ে দেয়া বিএনপি এবার কি সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল বিরাজ করছে। এছাড়াও, রাজধানী ঢাকার অতি সন্নিকটে নারায়ণগঞ্জের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর রাজনীতির ময়দানে কোণঠাসা বিএনপি মাঠে নামার সুযোগ হাতছাড়া করবে না বলে অনেকেই মনে করছেন। রাজধানীর অতি নিকটে হওয়ার কারণে বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এ আধুনিক সময়ে সারাদেশের তথা বিশ্বের গণমাধ্যমের মাধ্যমের কড়া পাহারায় থাকবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। তাই এ নির্বাচন নিয়ে একদিকে যেমন বর্তমান ‘বিতর্কিত’ নির্বাচন কমিশন প্রচ- চাপে থাকবে নিরপেক্ষতা প্রমাণে তেমনি চাপ থাকবে ক্ষমতাসীন দলের উপরও। নির্বাচনে কারচুপির অজুহাতে যেন কোনোভাবেই বিএনপি তথা বিরোধীদল নির্বাচন বয়কটের সুযোগ না পায় সে বিষয়টিও সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনপি সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, নাসিক নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। দলীয় ব্যানারে যদি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত না নিতে পারে দলটি সেক্ষেত্রে নাগরিক কমিটি বা অন্যকোনো ব্যানারের সমমনা প্রার্থীকেও দলীয় সমর্থন জানাতে পারে বিএনপি। আর দলীয় সিদ্ধান্ত আসলে জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের দলীয় প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটিএম কামাল দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, পরিবেশবাদী আন্দোলনেও নিজেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালামও নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন।
জানা গেছে, শিগগির নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপির হাইকমান্ড। সেটা হতে পারে বৃহস্পতিবার আহুত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। নতুন নির্বাচন কমিশনের রূপরেখা নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বসা বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসার কথা বলে বিএনপি সূত্র জানায়।
অপরদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডেকেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকেই নাসিকে কে পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ দলীয় টিকেট তা নির্ধারণ হবে বলে দলটি সূত্রে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা। ১৮৭৬ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের সার্বিক উন্নয়নে এবং ব্যবস্থাপনা করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ  পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা ও কদমরসূল পৌরসভা মোট ৩টি পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে ২৭ টি ওয়ার্ড সমন্বয়ে গঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। এটি বাংলাদেশের ৭তম সিটি কর্পোরেশন। এর আয়তন ৭২.৪৩ বর্গ কিঃমিঃ।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৩জনের নাম প্রস্তাব করেছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ। এই নামগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তবে তৃণমূলের সাব্যস্ত এই তালিকায় নেই বর্তমান মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার তফসিল ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগকে আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
সদ্যসমাপ্ত কাউন্সিলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ তার অন্তর্ভুক্ত থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে বর্ধিত সভা এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কমপক্ষে ৩ জনের একটি প্যানেল সুপারিশের জন্য তৈরি করার কথা বলা হয়।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ৩ জনের তালিকায় প্রথমে রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম। বাকি দুইজন হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ। মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না। তিনি বলেন, দুই একদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য আপনারা জানতে পারবেন।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে পরাজিত করে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন  সেলিনা হায়াত আইভী।
এদিকে, জাতীয় সংসদে না থাকলেও মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে। আরেকটি সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে এবারও বিএনপি সরাসরি নিজেদের ব্যানারে নির্বাচনে নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা নাগরিক কমিটি বা অন্য কোনো ব্যানারের কোনো প্রার্থীকে পেছনে থেকে সমর্থন দিতে পারে।  
প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রচার-প্রচারণা ও প্রস্তুতিরও কমতি ছিল না তার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাতে হঠাৎ করেই পাল্টে যায় পুরো চিত্র। সেনা মোতায়েন না করাসহ নানা অভিযোগে প্রথমে কেন্দ্র থেকে, পরে নির্দেশনা অনুযায়ী নিজে থেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর  ঘোষণা দেন এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম।
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার সময় হতাশ ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল নারায়ণগঞ্জের এই নেতাকে। সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন তৈমুর ও তার সমর্থকরা। তিনি বলেছিলেন, দলের সিদ্ধান্তে শেষ মুহূর্তে নিজেকে কোরবানি দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আবার আলোচনায় এসেছে তৈমুর আলমের সেই সরে দাঁড়ানোর ঘটনা। কিন্তু বিএনপি কী করবে তার চেয়ে বড় করে আলোচনায় আসছে মেয়র পদে আবার তৈমুর আলম খন্দকার লড়বেন কি না।
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর রাতের সেই স্মৃতি আজও ভুলতে না পারা তৈমুর আলম খন্দকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরকার নির্বাচনব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হবে কি না, তা দলের চেয়ারপারসন সিদ্ধান্ত নেবেন। দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে তৈমুর বলেন, এবার নির্বাচন করার কোনো আগ্রহ নেই। তবে দল যে প্রার্থী দেবে, আমি তার পক্ষে কাজ করব।
নাসিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে দলের হাইকমান্ড এখনও পর্যন্ত কোনো গ্রীণ সিগনাল দেয়নি বলে ইনকিলাবকে জানান মহানগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো সিগনাল পাইনি। কিন্তু যেহেতু ইতোপূর্বে দেশে হওয়া স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রতীকে আমাদের দল অংশ নিয়েছে। বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। তারপরও আমাদের দল অংশ নিয়েছে। সরকারী দল ও নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে সেই নির্বাচন হয়েছে একতরফা ও দখলের নির্বাচন।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের দলে অনেকেই প্রার্থী হিসেবে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছেন। ন্যূনতম নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মেয়রসহ আমাদের দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হবে। তাই আমি মনে করি নাসিকেও অংশগ্রহণের ব্যাপারে আমাদের দলের সিদ্ধান্ত ইতিবাচকই হবে। তাছাড়া, অন্তত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠে নিজেদের সাংগঠনিকভাবে ব্যস্ত রাখতে পারবে। তিনি জানান, দল যাকেই প্রার্থিতা দিক, তাকেই আমরা সমর্থন দেব।
অপরদিকে, গত নির্বাচনে দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে এবার প্রথমবারে মতো দলীয় প্রতীকে হচ্ছে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চান না আইভী। তিনি জানিয়েছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তিনি তা মেনে নেবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা তালিকায় আইভীর নাম না থাকলেও তিনিই কেন্দ্রের প্রথম পছন্দের প্রার্থী। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে তাকে কেন্দ্র থেকে সবুজ সংকেতও দেয়া হয়েছে বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের তালিকায় নিজের নাম না থাকার ব্যাপারে আইভী সরাসরি কিছু না বললেও তার সমর্থকরা এজন্য দুষছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে আইভীর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমানকে। আর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বৈঠকে আইভীর নাম কেউ প্রস্তাবই করেনি। করলে তারা বিবেচনা করতেন।
তৃণমূল থেকে নাম প্রস্তাব না করা প্রসঙ্গে গত বুধবার নাসিক কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদেরকে আইভী বলেন, নাম প্রস্তাব না করা মানে এই নয় যে, তৃণমূল আমাকে চায়নি। আইভী বলেন, আমি এককথায় বলতে চাই, হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি এর বাইরে যাবো না। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে তাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
২০১১ সালের অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আইভী। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়েও তিনি পাননি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় শামীম ওসমানকে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার সরে দাঁড়ান। আইভীকে পরোক্ষ সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি। এতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Masum ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১:৫৯ এএম says : 1
ivike meor pode dekhte chai
Total Reply(0)
shihab ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:৫৮ এএম says : 0
hopefully development will increase after this election
Total Reply(1)
Masum ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ৩:০৯ পিএম says : 4
I hope so.

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন