পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের নবনিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি জিন লুইস। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন লুইসকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান এবং উন্নয়ন, শান্তি ও নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরে মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনএইচসিআরের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর ভাসানচরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলির কাজ শুরু করার গুরুত্বের ওপরও জোর দেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি ও বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
লুইস তাকে দেওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি সকল উন্নয়নমূলক দিকগুলিতে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সরকারের প্রশংসা করেন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন মোমেন-লুইস। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও শান্তিরক্ষী পাঠাতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানান।
আয়ারল্যান্ডের নাগরিক জিন লুইসের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, শান্তি বিনির্মাণ এবং মানবিক বিষয়ে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থা বিষয়ক পরিচালক এবং লেবাননে ত্রাণ ও কর্মসংস্থা বিষয়ক প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জিন লুইস।
এছাড়া ফিলিস্তিনে মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস এবং ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস কমিটি, কসোভোতে জাতিসংঘের মিশন এবং তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান ও আলবেনিয়ার বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হয়েও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
জেনেভাতে ইউনিসেফের জরুরি বিভাগে গ্লোবাল ক্লাস্টার সমন্বয় বিভাগ এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেছেন। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন