মাদক মামলায় শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান বেকসুর খালাস পেতেই ফ্যাসাদে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাক্তন কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে প্রবীণ এনসিপি নেতা নবাব মালিকের বেশ কিছু অভিযোগ।
গত বছর অক্টোবর মাসে মুম্বাই বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রমোদতরী থেকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। আদালতে একাধিক শুনানি হয়। নাটকীয়তার মধ্যে দিয়েই গত ২৮ অক্টোবর জামিন পান শাহরুখপুত্র। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩০ অক্টোবর ছাড়া পান আরিয়ান। এদিন মাদক মামলায় ছ’হাজার পাতার চার্জশিট ফাইল করেছে এনসিবি। তার মধ্যে অভিযুক্ত হিসেবে ১৪ জনের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় নেই আরিয়ানসহ মোট পাঁচ জনের নাম। এ প্রসঙ্গে উচ্চপদস্থ এনসিবি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিং একটি বিবৃতি জারি করেন। যেখানে বলা হয়, ‘আরিয়ান এবং মোহক ছাড়া সকলের কাছ থেকেই মাদক উদ্ধার হয়েছিল’। আরিয়ান খানসহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তা।
গত বছর অক্টোবর মাসে মুম্বাই বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রমোদতরী থেকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। আদালতে একাধিক শুনানি হয়। নাটকীয়তার মধ্যে দিয়েই গত ২৮ অক্টোবর জামিন পান শাহরুখপুত্র। বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩০ অক্টোবর ছাড়া পান আরিয়ান।
এরপর নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর প্রাক্তন কর্মকর্তার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্তের অভিযোগ ওঠে। মুম্বাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এর পরেই শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগে তদন্ত চালানোর দায়ে সমীরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। নজরে সমীর ওয়াংখেড়ের জাতি শংসাপত্রও, যা নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন এনসিপি নেতা। থানের কোপারি থানায় সমীরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআরও দায়ের হয়। যে ঘটনার কথা ওই এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, তা এখনকার নয়। ঘটনাটি ঘটে প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে। সূত্রের দাবি, ১৯৯৬-৯৭ সালে সমীরের বয়স ১৮ বছর হয়নি। অথচ সেই সময়েই একটি হোটেলের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় সেই সময় সেই আবেদন তার করা কথা নয়। কিন্তু, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি সেই কাজ করেছেন। এমনকি, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নিজের বয়স বাড়িয়েছেন তিনি। আবগারি দফতরের অভিযোগ, সেই সময় নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক দাবি করে নথি পেশ করেছিলেন সমীর। স্ট্যাম্প পেপারে একটি হোটেলের চুক্তিও করেছিলেন তিনি। সেই সদগুরু হোটেল ছিল মহারাষ্ট্রের থানেতে।
উল্লেখ্য, মুম্বাই ক্রুজ ঘটনার তদন্তভার প্রথমে তা এনসিবির হাতে থাকলেও একের পর এক অভিযোগ আসতে পরে তার দায়িত্বভার চলে যায় বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন