রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা মাদক আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন। গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মিয়া প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন দিন ধার্য করেন। গোল্ডেন মনিরের গত ২২ নভেম্বর ১৮ দিন এবং ৩ ডিসেম্বর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সূত্র জানায়, বাড্ডা থানা অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মইনুল ইসলাম দুই মামলায় তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে দুটি মামলায় রিমান্ড একসঙ্গে চালানো নির্দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক মামুনুর রশিদ তিন দিনের রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
গত ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাস থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন মনির। জব্দ করা হয় দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটির দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। পরে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন